
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সাবেক সভাপতি ড. বখতিয়ারের পদাবনতির প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
২০ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবাদ জানান সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এছাড়া এ ঘটনাকে ব্যক্তি প্রতিহিংসার হাতিয়ার দাবি করে এর প্রতিবাদ জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি বিভাগের সভাপতি।
এদিকে এ ঘটনাকে ‘স্বৈরাতান্ত্রিকভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একচ্ছিত্র আধিপত্য বিস্তারের পরিকল্পনা’ বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট।
মঙ্গলবার শাপলা ফোরামের সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের সভাপতি ড.পরেশ চন্দ্র বর্মনের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক ড. রবিউল হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নিয়োগ বোর্ডের প্রত্যেক সদস্যের স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের আইনগত অধিকার থাকা সত্ত্বেও সেটিকে অসৌজন্যমূলক আচরণ হিসেবে আখ্যায়িত করলে ভবিষ্যতে বিভাগের সভাপতিদের স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করা দুরূহ হয়ে পড়বে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মত স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের নজির স্থাপন ভবিষ্যতের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবেনা প্রকারান্তে এটি ব্যক্তি প্রতিহিংসার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
তারা আরও বলেন, এ বিষয়ে ড. বখতিয়ারকে কারণ দর্শানোর নোটিশের পর উচ্চআদালতের আশ্রয় নেন তিনি। এসময় আদালত এর কার্যক্রম স্থগিত করেন। এছাড়া এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত চলমান।
এমন সময় উপাচার্য তার আস্থাভাজন তদন্ত কমিটির রিপোর্টের মাধ্যমে ড. বখতিয়ারকে শাস্তি প্রদান করেন।
ড. বখতিয়ারের শাস্তির বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট তাকে এ শাস্তি দিয়েছে। এ বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। বোর্ডে প্রার্থী চূড়ান্তকরণ নিয়ে মাতানৈক্যের জেরে স্বাক্ষর না করেই বোর্ড থেকে বের হয়ে যান বিভাগের তৎকালীন সভাপতি ড. বখতিয়ার হাসান। এ ঘটনায় ড. বখতিয়ারের বিরুদ্ধে বোর্ডের অন্যান্য সদস্যের সাথে অশোভন আচরণের লিখিত অভিযোগ করেন বোর্ডের এক সদস্য।
পরে এ বিষয়ে তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি বিধি অনুযায়ী সহযোগী অধ্যাপক থেকে প্রভাষক পদে পদাবনতি প্রদান করা হয় ড. বখতিয়ারকে।
বিবার্তা/জায়িম/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]