
ছাত্রলীগের টানা সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। এতে আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। পূর্ব ঘটনার জেরে সংঘর্ষে জড়ানো গ্রুপ দুটি হলো সিএফসি ও সিক্সটি নাইন।
১৬ ফেব্রিয়ারি, শুক্রবার বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল ও শাহ আমানত হলের সামনে টানা ৪ ঘন্টা যাবৎ চলে এ সংঘর্ষ।
আহত প্রায় অর্ধশতক:
দুই গ্রুপের মারামারিতে প্রায় অর্ধশত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর আহতের খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর আহত আছেন যাদেরকে চমেক পাঠানো হয়েছে তবে সঠিক সংখ্যাটা জানা যায়নি।
অসহায় প্রশাসন:
টানা ৪ ঘন্টা যাবৎ ঘটে যাওয়া এ সংঘর্ষে নীরব ভূমিকায় থাকতে দেখা গেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজীম সিকদার বলেন, আমরা তাদেরকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছি কিন্তু তারা এতই অসহনশীল যে আচরণ করছে যে আসলে আমি কি বলব,আমি তাদেরকে অনুরোধ করব যাতে তারা সহনশীল হয় এবং পরিবেশ শান্ত রাখার জন্য সহযোগিতা করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, মারামারিরত দুটি গ্রুপকে আমরা নিরস্ত্র করে তাদের হলে উঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি তারা ছাত্র পেশাদার কোনো সন্ত্রাসী না যে আমরা ধরব নিয়ে চলে যাব। তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করছি।
হলে তল্লাশি, সাংবাদিককে ছাত্রলীগের বাঁধা:
দীর্ঘ সংঘর্ষের পর রাত ৯টার দিকে হল তল্লাশি চালায় পুলিশ ও প্রশাসন। এসময় সাংবাদিকদের ভিতরে প্রবেশে বাঁধা দেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এরপর প্রক্টরের অনুমতিতে হলের ভিতর প্রবেশ করেন সাংবাদিকরা। তল্লাশিকালে শাহজালাল, শাহ আমানত ও আব্দুর রব হল থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ বেশকিছু রামদা রট ও পাইপ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সূত্রপাত যেখানে:
গত বুধবার সিএফসি গ্রুপের এক কর্মীর সাথে সিক্সটি নাইন গ্রুপের এক কর্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন এলাকায় হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রুপ দুটির মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে দফায় দফায় কয়েকবার সংঘর্ষে জড়ায় গ্রুপ দুটি।
সিক্সটি নাইন পক্ষের নেতা ও সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাঈদুল ইসলাম সাঈদ বলেন, গত বুধবার স্টেশনে আমাদের ১৮-১৯সেশনের এক সিনিয়রের সাথে ওদের এক জুনিয়রের বাকবিতন্ডা হয় সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত হয়। আমরা চেয়েছি আমাদের জুনিয়রদের ভিতরে ঢুকিয়ে নিতে কিন্তু ওদের ছেলেরা বারবার আমাদের ছেলেদের উস্কানি দিচ্ছে এবং রামদা দেশীয় অস্ত্রসহ এখানে আক্রমণ চালিয়েছে।
জানতে চাইলে সিএফসি পক্ষের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মির্জা খবির সাদাফ বলেন, সিক্সটি নাইনে কোন নেতা নেই। তাদের কেউ কাউকে মানে না। আজ আমাদের কর্মীরা জুমার নামাজ পড়ে ফেরার সময় সিক্সটি নাইনের কর্মীরা আমাদের কর্মীদের দিকে ইটপাটকেল ছুড়ে মারে। এই ঘটনা কেন্দ্র করে আবার ঝামেলা শুরু হয়েছে।
বিবার্তা/মহসিন/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]