চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) একসঙ্গে চলছে দুই আন্দোলন। রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ এনে আন্দোলন করছে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষক সমিতির চলমান আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য নির্মিত ‘সংবাদ প্রদর্শনী’ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
১২ ফেব্রুয়ারি, সোমবার দুপুর ১২টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে টানা ৯ম দিনের মতো আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে শিক্ষক সমিতির ‘সংবাদ প্রদর্শনী’ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন শিক্ষক সমিতি।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিন আখতার জানান, সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে বিচারের জন্য তদন্ত কমিটির কিছুদিন সময় বেশি লাগছে তাই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২দিনের সময় চেয়ে নিয়েছেন প্রশাসন।
এদিকে শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের ব্যাপারে সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে একদল লোক মুখ ঢেকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সংবাদ প্রদর্শনীর সরঞ্জাম সব কেটে দিয়ে চলে গেছে। এই যদি হয় এখানে অবস্থা, একটা বিশ্ববিদ্যালয় তাহলে চলবে কি করে। এখানে এটাই প্রমাণিত হয় যে আসলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যে প্রশাসনিক কাঠামো আর নিরাপত্তা ব্যবস্থা এটা এতই ভঙ্গুর হয়েছে যে এখানে যে কেউ যেকোনো কিছু করতে পারে এবং ইতোমধ্যে চরম বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। যে কারণে প্রত্যেকটি সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এরকম ভঙ্গুর প্রশাসনের অধীনে এরকম বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। তাই তাদের দুজনকে অতি দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে।
সমিতির কোশাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলী হাসান চৌধুরী বলেন, আমাদের এ আন্দোলন অনিয়মের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং নিয়মহীনতার বিরুদ্ধে। আমরা এ আন্দোলন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে করে আসছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের ছত্রছায়ায় রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এখানে হামলা চালিয়েছে এবং ক্ষতিসাধন করেছে। একটু আগেও আমাদের কাছে রেজিস্ট্রার মহোদয়ের একটি চিঠি এসেছে এ স্পেন্ডেলটিকে সরানোর জন্য। তাহলে বুঝাই যাচ্ছে প্রশাসন এ স্পেন্ডেলটিকে ভয় পাচ্ছে। ভয় পাবার কারণ হলো এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রশাসনের অনিয়মের সংবাদগুলো এখানে প্রচার হচ্ছে।
নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, এ প্রশাসন একটা স্পেন্ডেল রক্ষা করতে পারেন না তো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কীভাবে রক্ষা করবে।
জানা যায়, বেশ কয়েকদিন যাবৎ শিক্ষক সমিতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অনিয়মের খবরগুলো প্রদর্শনী করে আসছিল। কিন্তু গত ৭ ফেব্রুয়ারি কে বা কারা যেন নির্মিত স্থাপনার ক্ষতি করে।
বিবার্তা/মহসিন/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]