বাকৃবিতে ছাত্রী শ্লীলতাহানির বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ, প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৬
বাকৃবিতে ছাত্রী শ্লীলতাহানির বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ, প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ
বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

আমার বোন লাঞ্ছিত কেন প্রশাসন জবাব চাই, বোবা প্রশাসনের টনক নড়বে কবে, সিসিটিভি আছে ফুটেজ নাই, নিরাপত্তা কোথায়, ক্যাম্পাসে বহিরাগত কেন এভাবেই পোস্টার এবং স্লোগান দিয়ে শ্লীলতাহানির বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা।


১১ ফেব্রুয়ারি, রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় পশুপালন অনুষদীয় গেইট থেকে ছাত্রী শ্লীলতাহানির বিচারের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন তালা দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।


অন্যদিকে, এই ঘটনার পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা একযোগে পদত্যাগ পত্র জমা দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম।


এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম বলেন, যেখানে শিক্ষকদের সম্মান নেই সেখানে আমাদের কাজ করা অসম্ভব। আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করে গালিগালাজ করেছে। আমরা প্রক্টরিয়াল বডির (প্রক্টর এবং সহকারী প্রক্টরবৃন্দ) সদস্যরা স্বাক্ষর করে একযোগে পদত্যাগ পত্র প্রক্টরিয়াল অফিসে জমা দিয়েছি।


বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বারের মোড় হতে শাহজালাল পশুপুষ্টি মাঠ গবেষণাগার সংলগ্ন রাস্তায় শ্লীলতাহানির শিকার হোন পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী। ইচ্ছাকৃতভাবেই ওই রাস্তায় সিএনজি প্রবেশ করান চালক। সেই সময়, তার সিএনজিতে কোনো যাত্রী ছিল না। পরবর্তীতে, সেই সিএনজিচালককে ধরতে যাওয়ার চেষ্টা করা হলে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান।


পরবর্তীতে দুপুর ১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে ওই শিক্ষার্থীরা আলোচনায় বসেন। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের নিকট তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট রাস্তা ব্যতীত সিএনজি, অটো চলাচল নিষিদ্ধ করা এবং রিকশাগুলির নির্ধারিত কোড ও রিকশাচালকদের নির্দিষ্ট পোশাকের ব্যবস্থা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মের রাস্তাগুলিতে অবিলম্বে নিরাপত্তা জোরদার করা এবং গতদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনার অবিলম্বে বিচার করা।


এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রবেশপথগুলিতে নিরাপত্তাকর্মীর সাথে সংযোগ জোরদার করার জন্যে সাধারণ নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মের রাস্তাগুলিতে কালকে থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হবে এবং শ্লীলতাহানির এই ঘটনার উপযুক্ত বিচারের জন্যে পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলা হয়েছে।


প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ বিষয়ে তিনি জানান, প্রক্টর এবং ছাত্রদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এটি সাময়িক বিষয়। বিষয়টির সমাধান করা হচ্ছে। দুই এক দিনের মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। প্রক্টররা আবার তাদের কর্মস্থলে যোগদান করবে।


বিবার্তা/রাকিবুল/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com