চবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২
প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:৪৭
চবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২
চবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের বিজয়ের দুটি শাখার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শাখা দুইটি হল এ এফ রহমান হল ও আলাওল হলে মোহাম্মদ ইলিয়াসের অনুসারী অন্যদিকে সোহরাওয়ার্দী হলের সাখাওয়াত হোসেনের অনুসারী। এতে দুইজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।


সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এসময় বিজয়ের এক গ্রুপের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে আরেক গ্রুপের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হল খেলার মাঠে অংশ নেয়।


প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় , সন্ধ্যার পর আই. ই. আর. বিভাগের ১৬-১৭ সেশনের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. শহীদ সাংবাদিকতা বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের মামুন কে দা দিয়ে আঘাতের চেষ্টা ও তার উপর আক্রমণ করে। এ সময় মামুন দৌড়িয়ে পালিয়ে তার হল আলাওলে যায়।এরপর ইলিয়াসের অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্র হাতে শহীদকে ধাওয়া দেয়ার জন্য আসে এবং তারা শহীদের দুটি দোকানে ভাঙচুর করে। ভাঙচুরের পর ফেরার পথে উভয়ের মাঝে ভুল বুঝাবুঝিতে সোহরাওয়ার্দী হল সাখাওয়াত গ্রুপের অনুসারীরাদের মুখোমুখি হয় তারা।


মো. শহীদ বলেন, ইলিয়াস কিছুদিন আগে কিছু জুনিয়র দিয়ে আমাদের সাথে বেয়াদবি করিয়েছে, যারা আমাদের থেকেই রাজনীতি শিখেছে। আজকে তাদের কে আমরা একটু শাসন করেছি এই শাসন করাতেই আজকের এই সমস্যা। শাসন করার পর তারা হল থেকে সবাইকে নিয়ে এসে আমার দোকানে ভাঙচুর ও ক্যাশ থেকে লুটপাট করেছে ক্যাশে সবসময় ২০-২৫ হাজার টাকা থাকে। হোটেলের ১০-১৫ হাজার টাকার খাবারের ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এমনকি আমার স্টাফদের গায়েও হাত তুলেছে।


বিজয়ের একাংশের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াসের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার এক জুনিয়রকে সোহরাওয়ার্দী হল থেকে কয়েকজন ছেলে বের হয়ে মারধর করে। বর্তমানে তার অবস্থা খারাপ। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।


বিজয় গ্রুপের অন্য অংশের নেতা সাখাওয়াত হোসাইন জানান, আজকের এই ঘটনার জন্য আমার বা আমার জুনিয়রদের কোন ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। এটা সম্পূর্ণই তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। তারা অতর্কিতভাবে আমাদের হলে আক্রমণ করে। এতে করে আমার একজন জুনিয়র আহত হয়েছে। আমি তাদের বলেছি আমার কোন জুনিয়র যদি এর সাথে জড়িত থাকে তাহলে তাকে আমি আইনের হাতে তুলে দেব।


ভুক্তভোগী মামুনকে বারবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি, তার ফোন বন্ধ রয়েছে।


বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজীম সিকদার বলেন, ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে হাজির হই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। আমরা এখন পর্যন্ত একজনের মাথায় আঘাত সহ দুইজনের আহতের খবর পেয়েছি। এখন পরিবেশ শান্ত আছে।


বিবার্তা/মহসিন/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com