ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আান্তঃবিভাগ টুর্নামেন্ট আয়োজন ও আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় টুর্নামেন্টের সকল ইভেন্টে অংশগ্রহণের দাবিতে আবারো প্রধান ফটকে তালা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়রা।
৫ ফেব্রুয়ারি, রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে এই আন্দোলন শুরু করেন তারা। পরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসগুলো আটকা পড়লে ভোগান্তির শিকার হন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এদিকে সরকারের ব্যয়সংকোচন নীতির কারণে সকল দাবি মেনে নিতে না পারলেও কিছু দাবি বাস্তবায়নের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি আন্তঃবিভাগ টুর্নামেন্টের দাবিতে প্রধান ফটকে তালা দেন খেলোয়াড়রা। এর প্রেক্ষিতে আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে দশ দিনের ব্যবধানে রবিবার দুপুরে আবারো প্রধান ফটকে তালা দেন খেলোয়াড়রা।
এসময় তারা দাবি করেন, ‘আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরুর ঘোষণা দিলেও অন্য খেলাগুলো নিয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছেনা। এছাড়া তাদেরকে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় টুর্নামেন্টে সকল ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হচ্ছেনা।’ এসময় তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন খোলোয়াড়রা।
এদিকে প্রধান ফটকে তালা দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহনকারী দুপুর দুইটার বাসগুলো আটকে পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আটকে পড়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এবিষয়ে এক শিক্ষক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া থাকতেই পারে কিন্তু অন্যদের ভোগান্তিতে ফেলে এভাবে আন্দোলন করা যুক্তিসঙ্গত পন্থা নয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ খেলোয়াড়দের সাথে আলোচনায় বসার শর্তে তালা খুলে দেয়া হয়। খেলোয়াড়দের সাথে আলোচনায় বসে প্রক্টর ও শারিরীক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক। এসময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় খেলোয়াড়দের পক্ষে আলোচনায় অংশ নেয়। এছাড়া তিন সহ-সভাপতিসহ ডজনখানেক ছাত্রলীগ নেতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ইউজিসি থেকে আমাদের যে বাজেট দেয়া হয়েছে তার সিংহভাগ বঙ্গবন্ধু চ্যাম্পিয়নশিপে খরচ হয়ে গেছে। সরকারের ব্যয়সংকোচণ নীতির কারণে বৃহৎ পরিসরে সকল খেলা বাস্তবায়ন করা কষ্টকর। তারপরেও আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলেছি, তারা বিষয়টি দেখছেন।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, কথায় কথায় ফটকে তালা দেয়ার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তাদের দাবি নিয়ে তারা আমার সাথে কোন কথা না বলেই প্রধান ফটকে তালা দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে ফেলেছেন। উপাচার্যের শিডিউল নিয়ে তাদের সাথে আলোচনার ব্যবস্থা করা হবে।
বিবার্তা/জাইম/এমএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]