
এশিয়ান সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ এডুকেশন (এসিআইই) বাংলাদেশের উদ্যোগে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে ৬ষ্ঠ বারের মতো তিনদিন ব্যাপী (১৯-২১ মে) ‘একীভূত শিক্ষা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে নোয়াখালী প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম ওয়াহীদুজ্জামান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।
তিনদিন ব্যাপী সম্মেলনের প্রথমদিন দুইটি কিনোট পেপার উপস্থাপন করা হয়েছে। কিনোট স্পিকার হিসেবে ছিলেন কনকর্ডিয়া ইউনিভার্সিটি অফ এডমান্টন-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. টিম লোরম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, করোনাকালে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা থমকে গিয়েছিল শুরুতে। বাংলাদেশ সরকার শিক্ষান কার্যক্রম যেন এই দুর্যোগকালীন সময়ে ব্যাহত না হয় সে জন্যে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে অনলাইন ও অফলাইনে শিখন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে এবং একই সাথে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রেষণা প্রদান করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে যেকোনো পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। গেস্ট অফ অনার হিসেবে ছিলেন ইউনেস্কো ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান বিট্রিস কালদুন এবং ন্যাশনাল কারিকুলাম ও টেক্সটবুক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান।
সমাপনী বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, করোনাকালীন দুর্যোগ মোকাবেলা করে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সঠিক পথে পরিচালিত হচ্ছে। পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে শিক্ষা ব্যবস্থাকে টেকসই করতে হলে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা এবং সেইসাথে শিক্ষাক্রমকে যুগপোযোগী করতে হবে। বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে নতুন কারিকুলাম পরিমার্জন করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে যাবে।
শিক্ষামন্ত্রী সম্মেলনের সফলতা কামনা করেছেন এবং তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে সমন্বয় তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
সমাপনী দিনে এসিআইই এর নিয়মিত আয়োজন ড. নিরাফাত আনাম মেমোরিয়াল ইনক্লুশন (নামি) অ্যাওয়ার্ড ৫ম বারের মতন প্রদান করা হয়েছে। প্রতি দুই বছর পরপর এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। একীভূত সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখায় এবছর প্রয়াত জনাব লিন্ডসে এলান চেয়েন কে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
সমাপনী বক্তব্যে সম্মেলনের মেম্বার সেক্রেটারি জনাব অধ্যাপক ড. তারিক আহসান সম্মেলনের সহ-আয়োজক, অতিথিবৃন্দ, সেশন চেয়ার, প্যানেলিস্ট, অংশগ্রহণকারী এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, সম্মেলনে উপস্থাপিত গবেষণাপত্রসমূহ পলিসি রিফরমসহ সামগ্রিকভাবে টেকসই শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
বিবার্তা/এসএফ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]