শিরোনাম
ইবির হলে বারবার চুরি
চিহ্নিত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেই
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২১, ১৮:৪৮
চিহ্নিত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেই
ইবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বন্ধ ক্যাম্পাসে আবাসিক হলে বারবার চুরির ঘটনা ঘটছে। মঙ্গলবার (২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হলের ২১৭ নম্বর কক্ষে তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটেছে।


এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের লক্ষাধিক টাকার সাবমারসিবল পাম্পসহ বিভিন্ন হলে কয়েকটি চুরি হয়। তবে এক কিশোর চুরি করতে এসে হাতেনাতে ধরা পড়লেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়েই কম বয়সের অযুহাতে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। ওই কিশোরের স্বীকারোক্তিতে কয়েকজনের নাম উঠে এলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানা গেছে।


জানা যায়, সাদ্দাম হোসেন হলের ২১৭নং কক্ষে তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় ওই কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী নাহিদ নুর। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় হলে প্রবেশ করে তার কক্ষের তালা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পায়। তার কক্ষ থেকে দুইটি রাইস কুকার, কিছু বই ও জামা-কাপড় চুরি হয়েছে বলে জানায় ভূক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।


এবিষয়ে হল প্রভোস্ট, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও বিভাগীয় সভাপতি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছে সে। সারেজমিনে দেখা যায়, হলের উত্তর ব্লকের ২য়, ৩য় ও ৪র্থ তলার গোসলখানার ফিটিংসসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও চুরি হয়েছে।


এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের নির্মাণ সামগ্রী চুরি করতে এসে হাতে নাতে ধরা পড়ে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর। পরে তাকে ইবি থানায় সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জিজ্ঞাসাবাদে শেখ রাসেল হলের লক্ষাধিক টাকার সাবমরসিবল পাম্প, রবীন্দ্র নজরুল একাডেমিক ভবন থেকে দুই ভ্যান টাইলস, আট কার্টন ক্যাবল চুরিসহ নির্মাণাধীন ভবনের অন্যান্য জিনিস চুরির কথা স্বীকার করে সে।


এসময় এসব চুরির সাথে জড়িত অন্যদের নামও প্রকাশ ওই কিশোর। তার মুখ থেকে উঠে আসা অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের কর্মচারী তোজামের ভাগ্নে সাব্বির হোসেন, শৈলকুপার সাতগাছীর সাগর আলী, পদমদী গ্রামের জব্বার আলীর ছেলে তরিকুল এবং একই গ্রামের ক্যাম্পাসের ঝালমুড়ি বিক্রেতা জামালসহ রুঞ্জু মিয়া, আকাশ ও সুমন। চুরির কথা স্বীকার করার পরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিয়েই ছেড়ে দেয় পুলিশ।


এবিষয়ে ইবি থানার ওসি মেস্তাফিজার রহমান বলেন, “ওই কিশোরের বয়স কম হওয়ায় শিশু হিসেবে তাকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।”


এছাড়া ঘটনার প্রায় এক মাস হয়ে গেলেও তার স্বীকারোক্তিতে উল্লেখ করা অভিযুক্তদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “ওই কিশোরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযুক্তদের ব্যাপারে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেছি। তাদের বাসা শৈলকুপায় হওয়ায় তাদের তথ্য ঐ থানায় পাঠিয়েছে ইবি থানা পুলিশ। পুলিশের সাথে সমন্বয় করে তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”


বিবার্তা/জায়িম/জাই


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com