শিরোনাম
খুবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার ও অপসারণের প্রতিবাদে বশেমুরবিপ্রবিতে মানববন্ধন
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:৫৩
খুবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার ও অপসারণের প্রতিবাদে বশেমুরবিপ্রবিতে মানববন্ধন
বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও তিন শিক্ষককে বরখাস্ত ও অপসারণের করার সিদ্ধান্ত বাতিল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনশনরত দুই শিক্ষার্থীর প্রতি সংহতি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।


রবিবার (২৪ জানুয়ারি ) সকাল ১১.৩০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শতাধিক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার ও তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করা যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। একটা বিশ্ববিদ্যালয় নায্য অধিকার আদায়ের জন্য যৌক্তিক আন্দোলনের সূতিকাগার এবং যৌক্তিক আন্দলোনের জন্য শিক্ষার্থী বহিষ্কার ও শিক্ষকদের বরখাস্ত করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের স্বৈরাচারী মনোভাবের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করেন।


মানববন্ধনে আইন তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী উজ্জ্বল মন্ডল বলেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি হল সুবিধা সহ শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন করার প্রেক্ষিতে দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার এবং ছাত্র-ছাত্রীদের নায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনের সংহতি প্রকাশ করায় তিন শিক্ষক বরখাস্ত ও অপসারণের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের এমন স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনঃক্ষুণ্ন করে এবং এমন জঘন্য ঘটনায় একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হয়ে আমরা ব্যথিত।


মানববন্ধনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের হোসাইন তার বক্তব্যে বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার মেয়াদের শেষ সময়ে যে আচরণ করেছেন তা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আচরণের মতোই। যেখানে উপাচার্য শেষ সময়ে দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করেছেন যা তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের মতো আচরণ করেছেন। শিক্ষার্থীদের যে পাঁচ দফা আন্দোলন তা শিক্ষার মৌলিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন। আর এসব মৌলিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনের জন্য বহিষ্কারের যে সংস্কৃতি তা শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য অশনিসংকেত। আশা করি তিনি শেষ সময়ে দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার ও তিন শিক্ষকের বরখাস্ত প্রত্যাহার করবেন।


প্রসঙ্গত, গত বছরের ১ ও ২ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করেন।এ সময় শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ, তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতা না করাসহ বিভিন্ন কারণে ওই দুই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের আন্দোলনের সাথে সংহতি জানানোর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে অপসারণ এবং একজন শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করে। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে দুই শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে শুরু হওয়া অনশন কর্মসূচি এখনো অব্যাহত আছে এবং সবশেষ খবর অনুযায়ী বর্তমানে অনশনরত দুই শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।


বিবার্তা/এসএ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com