শিরোনাম
সরকারি বিদ্যালয়ে লটারি শেষেও শুরু হয়নি ভর্তি
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২১, ১২:৪২
সরকারি বিদ্যালয়ে লটারি শেষেও শুরু হয়নি ভর্তি
ফাইল ছবি
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

সারাদেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির লটারির মাধ্যমে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ৭৭ হাজার ১১৪ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তির জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। তবে নির্বাচিতদের কবে থেকে বিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে সে বিষয়ে এখনো সরকারি নির্দেশনার অপেক্ষায় স্কুল কর্তৃপক্ষ।


জানা গেছে, এ বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) আওতাধীন সারাদেশের ৩৯০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির ভর্তিতে মোট ৭৭ হাজার ১৪০টি শূন্য আসনে চাহিদা আসে। তার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয়ভাবে সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভর্তি লটারি হয়। প্রথমে রাজধানীর স্কুলগুলো এরপর পর্যায়ক্রমে মহানগরী, জেলা ও উপজেলা শহরের সবমিলিয়ে ৩৯০টি স্কুলে লটারি হয়। লটারির কার্যক্রম অনলাইনে প্রচার করা হয়।


লটারির ফলাফল তাৎক্ষণিক টেলিটক ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের ই-মেইলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। নির্ধারিত লিংকে গিয়ে প্রতিষ্ঠান সেটি প্রিন্ট করে স্কুলে নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দিয়েছে।


মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুন্নাহার বলেন, লটারির মাধ্যমে শূন্য আসনের নির্বাচিতদের তালিকা নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। প্রতিদিন অভিভাবকরা এসে ভর্তি কবে শুরু হবে জানতে চাচ্ছেন। এখনও সরকারি ঘোষণা না আসায় আমরা ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে পারছি না। ঘোষণা এলেই পর্যায়ক্রমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেয়া শুরু হবে।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, মাত্র তো লটারি কার্যক্রম শেষ হয়েছে। ডিজিটাল লটারিতে কী কী অভিযোগ আসে সেটির জন্য অপেক্ষা করছি। আগামী সপ্তাহ থেকে নির্বাচিতদের ভর্তি নেয়া শুরু করা হতে পারে। তবে ভর্তির পরই সবাই নতুন ক্লাসের বই পাবে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিদ্যালয় খুলে ক্লাস কার্যক্রম শুরু করা হবে।


এদিকে, ডিজিটাল লটারিতে অনেক ছেলেদের স্কুলে মেয়েরা আবার মেয়েদের স্কুলে ছেলেদের নির্বাচন করা হয়েছে। তাই নির্বাচিত হলেও বর্তমানে তাদের ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।


এ বিষয়ে অধ্যাপক গোলাম ফারুক বলেন, আবেদনের সময় ‘লিঙ্গ’ নির্ধারণ জটিলতায় নির্বাচনের সময় এ ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা টেলিটকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সফটওয়্যারের মাধ্যমে এ ধরনের ভুল হলে তা সংশোধন করা হবে। আর আবেদনকারী ভুল করলে তা কিছু করার থাকবে না।


বিবার্তা/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com