শিরোনাম
বশেমুরবিপ্রবিতে ভর্তির দাবিতে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন
প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২০, ১৯:০২
বশেমুরবিপ্রবিতে ভর্তির দাবিতে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন
বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের একাংশ প্রায় একবছর পর ভর্তির দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছে।


মঙ্গলবার বেলা ১১ টা থেকে এ, বি, এফ, এইচ এবং ই ইউনিটের মোট আটজন শিক্ষার্থী ভর্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অনশন শুরু করেন।


শিক্ষার্থীরা জানান, বশেমুরবিপ্রবিতে আসন ফাঁকা থাকার পরেও তাদের ভর্তি নেয়া হয়নি। এর ফলে তাদের শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে দাবি করছেন তারা।


এতে ‘ই’ইউনিটে এক হাজার ৩৫৭ সিরিয়ালে থাকা মো: নাইম হোসেন বলেন, ‘আমরা ভর্তি হতে আসা বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে জানতে পারি এখনো অনেক আসন ফাঁকা রয়েছে। তাই আমরা আশা করেছিলাম আমাদের ডাকা হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় এই ফাঁকা আসনের বিপরীতে আর কোনো শিক্ষার্থীকে ডাকেনি। পরবর্তীতে আমরা বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করি। তারা আমাদেরকে সমাধানের আশ্বাস দেন কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা কোনো সমাধান পাইনি।’


কুমিল্লা থেকে আগত এই শিক্ষার্থী আরো বলেন, ‘আমরা বিষয়টা নিয়ে সেপ্টেম্বরে উপাচার্যকে চিঠিও দিয়েছি কিন্তু কোনো সমাধান পাইনি।’


‘এইচ’ইউনিটে ৪২৭ সিরিয়ালে থাকা মোঃ হুমায়নুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা রেজিস্ট্রার দফতরের একজনের মাধ্যমে জেনেছি এখনও ৩৩০ টি আসন ফাঁকা রয়েছে। আমরা চাই এই সকল ফাঁকা আসনের বিপরীতে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেয়া হোক।’


এ বিষয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার বলেন, ‘আমরা মেধাতালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেয়ার পরেও তিনবার ওয়েটিং তালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ডেকেছি। এমনকি তৃতীয়বারে শিক্ষার্থীদের বাড়িতেও ফোন দিয়েছি। কিন্তু এরপরও আসন ফাঁকা ছিলো। যেহেতু তিনবার ওয়েটিং তালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ডাকার পরেও সিট ফাঁকা ছিলো এবং আমাদের শিক্ষক সংকট, রুম সংকটসহ বিভিন্ন সংকট ছিলো তাই ভর্তি পরীক্ষার কোর কমিটি মিটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেই আর কোনো শিক্ষার্থী ডাকা হবে না।’


এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যেহেতু কাউকে ডাকিনি তার অর্থ আমরা আর কাউকে ভর্তি নিবো না, এক্ষেত্রে পৃথকভাবে ভর্তি বন্ধের নোটিশ দেয়ার কোনো বাধ্য বাধকতা নেই। আর বিষয়টি নিয়ে আমাদের যারা কল দিয়েছিলো তাদেরকেও জানিয়ে দিয়েছি আর কাউকে ভর্তি নেয়া হবে না।’


এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, ‘ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেছে প্রায় এক বছর আগে। আমি এখন কিভাবে স্টুডেন্টদের ভর্তি করাই? আর এখন যদি নিয়ম ভঙ্গ করতে হয় তাহলে এ বিষয়ে রিজেন্ট বোর্ডের মিটিংয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সেই সাথে ইউজিসির অনুমতি লাগবে। এছাড়া এ মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ এবং আমি ঢাকায় আছি। বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকলে কথাবার্তা বলা যেতো।’


বিবার্তা/মামুন/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com