শিরোনাম
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে শুরু হচ্ছে অনলাইনে পরীক্ষা
প্রকাশ : ১৩ মে ২০২০, ২১:৪৮
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে শুরু হচ্ছে অনলাইনে পরীক্ষা
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে পাঠদান, পরীক্ষা গ্রহণ, মূল্যায়ন এবং শিক্ষার্থী ভর্তি বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে।


এরই প্রেক্ষিতে অনলাইনে পরীক্ষা নিতে যাচ্ছে দেশের অন্যতম শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। আগামী ১৫ এবং ১৮ই মে প্রতিষ্ঠানটিতে অনলাইনে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।


জানা গেছে, শুরুতে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার বিষয়ে আপত্তি জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেমিস্টার ফি’র ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ না করায় এবং শিক্ষকরা অব্যাহত সহযোগিতা করায় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে রাজি হয়েছে।


এ ব্যাপারে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একজন শিক্ষক বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সবার আর্থিক অবস্থা খারাপ এটা ঠিক। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়কে ফিক্সড অনেক খরচ বহন করতে হয় তাই সেমিস্টার ফি চাওয়া হয়েছে।তবে এ ক্ষেত্রে কোন কড়াকড়ি আরোপ করা হয়নি।


তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্তিতি যেহেতু অনেকদিন চলমান থাকবে তাই আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইনেই চালিয়ে যেতে হবে। এজন্য সবাইকে অনলাইনে পরীক্ষা দিতে বলা হয়েছে। অনলাইনে যেসব পরীক্ষা নেয়া হবে তা অবশ্যই স্টুডেন্ট ফ্রেন্ডলি হবে। এ ক্ষেত্রে কোন কড়াকড়ি আরোপ করা হবে না।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একজন ছাত্রী বলেন, অনলাইনে পরীক্ষার কথা শুনে প্রথমে একটু নার্ভাস হয়ে গেছিলাম। কারণ যারা গ্রামে আছে তাদের মোবাইল নেটওয়ার্কের অনেক সমস্যা।পাশাপাশি সেমিস্টার ফিও একটা ব্যাপার ছিলো। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব কিছু স্টুডেন্ট ফ্রেন্ডলি করায় এখন পরীক্ষা দিতে সমস্যা নেই।


এর আগে করোনা ভাইরাসের কারণে ৩০ এপ্রিল শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে এক ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে একটি গাইডলাইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় ইউজিসি, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। ওই সভার সিদ্ধান্তে গাইডলাইন প্রস্তুত করে ইউজিসি।


এরপর ৭ মে দেশের সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একটি গাইডলাইন পাঠায় ইউজিসি।গাইডলাইন অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলতি সেমিস্টারের অসমাপ্ত কার্যক্রম (পাঠদান, পরীক্ষা ও মূল্যায়ন) অনলাইনে সম্পাদন করতে পারবে। পাশাপাশি আগামী সেমিস্টারেও শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে।


চলমান সেমিস্টারের শিক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করার বিষয়ে নির্দেশনা:


যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চলমান সেমিস্টারের শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইনে সন্তোষজনকভাবে পরিচালনা করছে, তাদের জন্য দু’টি বিকল্প প্রস্তাব দেয়া হয়।


ক. কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আগের মতো চলতি সেমিস্টারেও কোর্সগুলোর অসমাপ্ত পাঠ্যসূচির ওপর অনলাইনে ক্লাস চলমান থাকবে, তবে ল্যাবরেটরিভিত্তিক সব কোর্সের ব্যবহারিক ক্লাস করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর শ্রেণিকক্ষে সম্পন্ন করতে হবে। অনলাইনে ক্লাসের বিষয়ে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব সক্ষমতা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের উপযোগী ডিজিটাল পদ্ধতিতে যে কোনো অনলাইন প্লাটফর্মের সহায়তা নিয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকরী ব্যবস্থা নেবে।পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় সব পর্যায়ের পরীক্ষা ও মূল্যায়ন চলমান নিয়ম অনুযায়ী গ্রহণ করবে।


খ. কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আগের মতো চলতি সেমিস্টারে কোর্সগুলোর অসমাপ্ত পাঠ্যসূচির ওপর অনলাইনে ক্লাস চলমান থাকবে। এ বিষয়ে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব সক্ষমতা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের উপযোগী ডিজিটাল পদ্ধতিতে যে কোনো অনলাইন প্লাটফর্মের সহায়তা নিয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকরী ব্যবস্থা নেবে।


চলমান সেমিস্টারে তত্ত্বীয় কোর্সের বিভিন্ন বিষয়ে রেজিস্ট্রিকৃত শিক্ষার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে এসব বিষয়ের অসমাপ্ত পাঠ্যসূচি (যা ৩০% মত) সন্তোষজনকভাবে সম্পন্ন হয়ে গেলে এবং অনলাইনের কার্যক্রম শুরুর আগে চলমান সেমিস্টারের বিভিন্ন বিষয়ে ইতোপূর্বে ক্লাস উপস্থিতি, পারফরমেন্স, ক্লাসটেস্ট, মিডটার্ম পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে যা মূল্যায়ন করা হয়েছে তার নম্বর এবং অনলাইনের পঠিত অংশের ওপর অ্যাসাইনমেন্ট, কেইস স্টাডি, ভাইভা (ভিডিও ডিভাইস অন অবস্থায়), ভার্চুয়াল প্রেজেন্টেশন নিয়ে যথাযথ স্বচ্ছতা ও মান নিশ্চিত করে মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়ে ফলাফল প্রকাশ করা যাবে। মূল্যায়নের জন্য প্রয়োজন হলে পূর্বের সেমিস্টারে ফলাফল বিবেচনায় আনা যেতে পারে। সব বিষয়ের ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে প্রকাশ করতে হবে।


ল্যাবরেটরিভিত্তিক সব কোর্সের ব্যবহারিক ক্লাস নেয়া, এর ওপর পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরপরই অতিরিক্ত সময় বা পরে সরাসরি শ্রেণিকক্ষে সম্পন্ন করতে হবে।


দু’টি বিকল্প প্রস্তাবের যে কোনো একটি নিতে হলে চলমান সেমিস্টারে অনলাইনে নেয়া ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ন্যূনতম ৬০ শতাংশ হতে হবে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় এ শর্ত পূরণ করেছে কেবল তারাই দু’টি বিকল্প প্রস্তাবের মধ্যে একটি প্রস্তাব নেবে তা লিখিতভাবে ১৭ মের মধ্যে উইজিসিকে জানিয়ে অনুমোদন নিতে হবে।


বিবার্তা/আবদাল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com