কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রতিষ্ঠার প্রায় ১৪ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো শিক্ষার্থীদের বাস সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন|শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময় বাস বৃদ্ধির আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই প্রতিনিয়তই শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ১৯ টি বিভাগে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও পরিবহন পুলে যুক্ত হয়নি একটি বাসও। শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
বর্তমানে বিআরটিসির ভাড়ায় চালিত লাল বাস রয়েছে ১১টি, যার বেশিরভাগেরই ফিটনেস নেই। এছাড়া কুবির নিজস্ব বাস রয়েছে ৫টি। এর মধ্যে প্রায় ৩ থেকে ৪ মাস থেকে একটি বাস নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে।
বাসের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে শিক্ষার্থীরা পরিবহন পুল, বাস সংক্রান্ত মতামতের প্ল্যাটফর্ম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিনিয়ত অভিযোগ করলেও নিশ্চুপ ভুমিকা পালন করছে প্রশাসন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পরিবহনে ফিটনেসবিহীন, নষ্ট গাড়ি পাঠিয়ে দায়সাড়াভাবে চুক্তি রক্ষা করছে বিআরটিসি। আর বিআরটিসি এবং কুবি প্রশাসনের উদাসীনতায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের।
এনিয়ে বিভিন্ন সময় আন্দোলনও করেছেন শিক্ষার্থীদের। আন্দোলন থামাতে প্রশাসন থেকে বাস বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে কুবিতে আসবে ৮টি দোতলা বাস। কিন্তু আশ্বাস শুধু আশ্বাসেই রয়ে গেছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয়ে সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা ঋতু বলেন, শিক্ষার্থীদের তুলনায় বাস সংখ্যা অপ্রতুল। সকাল সকাল কোনোভাবে দাঁড়িয়ে বাসে আসলেও দিনশেষে বাসে দাঁড়িয়ে ফেরা খুবই কষ্টকর হয়ে যায়। নতুন ব্যাচ আসায় তো এখন বাসে দাঁড়ানোর জায়গাও পাওয়া যায় না।
লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী এ এম নুর উদ্দীন হোসাইন বলেন, কুবিতে বাস সংকট দীর্ঘদিনের। এর জন্য স্মারকলিপি কিংবা আন্দোলনও কম হয়নি। কিন্তু এতেও কোনো সমাধান হয়নি।
পরিবহন পুলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহিদুল আলম বলেন, ‘বাসের ট্রিপ ৫৮ থেকে ৭০ টা করা হয়েছে। বাসের সংখ্যা না বাড়লেও ট্রিপ বাড়িয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি। বাস ড্রাইভারের সংকটও রয়েছে আমাদের, বাস বাড়ানোর সাথে সাথে বাস ড্রাইভারও বাড়ানো হবে। দেখা যাচ্ছে কোনো ড্রাইভার অসুস্থ হলে সেই ড্রাইভারের রিপ্লেসে অন্য ড্রাইভার নাই।’
পরিবহন পুলের উপদেষ্টা মো. এমদাদুল হক বলেন, ‘জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে বাসের উপর অনেক চাপ পড়ে এবং পরবর্তীতে চাপটা কমে যায়। প্রশাসন এই বিষয়টা নজরে রেখেছে। তিনটা বাস কেনার টেন্ডার আহ্বান করার কাজ শেষ হয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে আমরা আগামী সপ্তাহে আলোচনায় বসবো।’
বিবার্তা/আল আমিন/এসএ/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]