শিরোনাম
বশেমুরবিপ্রবি’র গোপনীয় নথি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০১৯, ২২:২১
বশেমুরবিপ্রবি’র গোপনীয় নথি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদত্যাগের পর থেকে বিভিন্ন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গোপনীয় নথি আইন বহির্ভূতভাবে একের পর এক প্রকাশ করা হচ্ছে। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা।


বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ এ সব নথি ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে। এতে করে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অথচ এসব গোপনীয় নথী জনসম্মুখে প্রকাশ যৌক্তিক কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নুরউদ্দিন আহমেদ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন ‘হরহামেশা একটি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন গোপনীয় নথী জনসম্মুখে প্রকাশ করা সেই প্রতিষ্ঠানের জন্য ভাল সংকেত বহন করে না।’


এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। তারা মনে করেন, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ফাইল সুরক্ষিত নয়, সেখানে গোটা বিশ্ববিদ্যালয় কতটা অরক্ষিত সেটারই ইঙ্গিত বহন করে।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব ব্যক্তিগত ফাইল নিয়ম বহির্ভূতভাবে তল্লাশি করে তা ফেসবুকে প্রকাশের সাথে বর্তমান প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ কিছু শিক্ষক-কর্মকর্তা জড়িত। এ ব্যপারে ভিসি প্রফেসর ড.শাহজাহান কে প্রশ্ন করা হলে তিনি মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।


গত ২১ নভেম্বর গাজি ফারহাদ হোসেন রনি তার ফেসবুক আইডি থেকে বর্তমান ডেপুটি রেজিস্ট্রার খান মোহাম্মদ আলীর গোপনীয় নথি ছাড়েন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।যা রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়। খান মোহাম্মদ আলী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ বছর ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদে চাকরি করে আসছেন। গোপালগঞ্জে আসছেন শুধু নিজের এলাকার মানুষকে সেবা দিতে কিন্তু প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন এলাকার মানুষের সেবা করতে অথচ তার ও চরিত্র হনন করা হলো। ব্যক্তিগত ফাইল তল্লাশি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া কি আইনগত এই প্রশ্নটি থেকেই যায়।


এ বিষয়ে খান মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘প্রসাশন যদি মনে করেন বা কোনো সন্দেহ থাকে তবে তল্লাশি করতেই পারে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ ঠিক নয়।’


গনিত বিভাগের শিক্ষক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘তথ্য জানার অধিকার সবার আছে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের মত জায়গায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ফাইলের সম্পুর্ন/আংশিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অত্যন্ত উদ্বেগজনক। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দফতর/অন্য কোনো দফতরের ফাইগুলো এতটা অনিরাপদ থাকতে পারে এটা সত্যিই অকল্পনীয়। এর পিছনে ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে আনা জরুরী।’


বিবার্তা/আভি/জাই


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com