দিনাজপুর মোহাম্মদ হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের সাথে সদ্য যোগ দেয়া এক শিক্ষিকার যৌন কেলেংকারির ঘটনা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
এ ঘটনায় আবারো নিন্দা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে।উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাক এবং সুশীল সমাজ।ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষিদের শাস্তির দাবিতে ইতোমধ্যে শিক্ষকদের একাংশ অভিযোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে।
তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিও টিতে ভিন্ন চিত্র ফুটে উঠেছে।তা অনেক আগের বলে প্রতিমান হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে হাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পায়তারাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে হাজি দানেশ বিঞ্জান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বিশ্বাবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক দীপক কুমার সরকার এবং মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষক রমজান আলীর বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানী, মানসিক নির্যাতন ও অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠে।
এর প্রতিকার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ প্রদান, মানববন্ধন, বিক্ষোভ, সমাবেশ, অনশন, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনের পাশাপাশি অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তার কুশপুত্তলিকা দাহ করে। এর আগে যৌন কেলেংকারির সাথে জড়িত শিক্ষকদের বহিষ্কারের দাবিতে আমরণ অনশনও করেছেন শিক্ষকরা। এমনকি কয়েকজন শিক্ষক এর প্রতিকার চেয়ে পদত্যাগও করেন। এনিয়ে সুশীল সমাজ এবং বিভিন্ন নারী ও সামাজিক সংগঠন আন্দোলনও করেছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া দিনাজপুর মোহাম্মদ হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের সাথে সদ্য চাকরিপ্রাপ্ত এক শিক্ষিকার যৌন কেলেংকারির ঘটনাটি অনেক আগের বলে দাবি করছেন অনেকেই। ২০১৫ সালের বলে তাদের দাবি। ভাইরাল হওয়া ভিডিওর নারী-পুরুষ বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।তাদের ব্লাক মেইলিং করা হয়েছে। জিম্মি করে ছিনতাই করা হচ্ছে,তাদের সর্বস্ব।এমনি চিত্র ফুঁটে উঠেছে ভিডিওতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই শিক্ষার্থী সদ্য শিক্ষিকা হিসেবে চাকরিপ্রাপ্ত। আর চাকরি পাওয়ার পর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি ভাইরাল হওয়া ভিডিওর শিক্ষার্থীর। মিথ্যা ও বানোয়াট ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরালকারীর বিরুদ্ধে তিনি শিগগিরই আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান।
তবে এ বিষয়ে প্রগতিশীল শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. বলরাম রায়ের অভিযোগ, এতো প্রতিবাদ ও আন্দোলনের পরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর আগে যৌন কেলেংকারির সাথে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো উল্লেখযোগ্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তারা এখনো বহালতবিয়তেই আছেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ যৌন নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত এক শিক্ষককে বাঁচাতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকতে (ইউজিসি) মিথ্যা তথ্য দিয়ে চিঠি প্রদান করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড, মু আবুল কাসেমের সঙ্গে যোগাযাগ করা হলে তিনি জানান, যৌন কেলেংকারিতে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।তদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বর্তমান অভিযোগটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।তবে একটি স্বার্থন্বেষী মহল বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজকতা পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন বলে ভিসি প্রফেসর ড. মু আবুল কাসেম অভিযোগ করেছেন।
অপরদিকে অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে হাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পায়তারাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে হাজি দানেশ বিঞ্জান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রবিবার বেলা ১১টায় হাজি দানেশ বিঞ্জান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করে তারা।মানববন্ধনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
বিবার্তা/শাহী/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]