শিরোনাম
আন্দোলনের মুখে ইবি প্রক্টরের পদত্যাগ
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:৩০
আন্দোলনের মুখে ইবি প্রক্টরের পদত্যাগ
ইবি প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের একাংশের আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগে বাধ্য হলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নবনিযুক্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুব রহমান। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে পদত্যাগ করেন তিনি।


এর আগে প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে গত শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। দুপুর দেড়টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক আটকে আন্দোলন করেন তারা।


শনিবারই প্রক্টর পরিবর্তনের জন্য একদিনের আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস সময় শেষ হলেও প্রক্টরকে পরিবর্তন করেনি প্রশাসন। আন্দোলনকারীদের কাছে সাত দিনের সময় চায় কর্তৃপক্ষ।


ইবি সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান প্রক্টর হিসেবে যোগদান করেন। আর দুপুর ১টার দিকে মিছিল নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারীর কার্যালয়ে যায় ছাত্রলীগ।


সংগঠনের বিদ্রোহী নেতাকর্মীদের দাবি, ২০১৪ সালে প্রক্টোরের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ড. মাহবুব পুলিশকে ছাত্রলীগের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। শিক্ষক বাণিজ্যের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তিনি। নিয়োগ বাণিজ্যের একাধিক অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ এনে তার পদত্যাগ দাবি জানান তারা।


এ সময় ছাত্রলীগ নেতারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, আমরা অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানকে প্রক্টর পদে না দেয়ার অনুরোধ করেছিলাম। আমাদের অনুরোধ না রেখে আপনারা তাকে নিয়োগ দিয়েছেন। শনিবার আপনাদের প্রক্টর পরিবর্তনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল। এবার সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করব।


পরে ক্যাম্পাসের ফটকে তালা লাগিয়ে অবরোধ করে পদত্যাগ দাবি করে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের একাংশ। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহনকারী (শিডিউল গাড়ি) গাড়ি দুপুর ২টায় ক্যাম্পাসে আটকা পড়ে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।


বিকেল ৪টার দিকে ফটকের তালা খুলে দিলে ক্যাম্পাস থেকে গাড়িগুলো ছেড়ে যায়। পরে বিদ্রোহীরা প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন। বিদ্রোহীরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।


এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ১৫ জনের একটি প্যানেল বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করেও একই দাবি জানায়।


এ বিষয়ে শাপলা ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূইয়া বলেন, শাপলার সাবেক কমিটির একটি সিদ্ধান্ত ছিল, যেসব শিক্ষক পাঁচ বছর প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের আবারো দায়িত্ব না দেওয়া। এছাড়া বর্তমান প্রক্টর (ড. মাহবুব) বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত। তাই প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত রিভিউ করার জন্য বলা হয়েছে।


বিবার্তা/এরশাদ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com