শিরোনাম
বশেমুরবিপ্রবির ভিসি নাসিরের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীসহ নানা অভিযোগ
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২০:১০
বশেমুরবিপ্রবির ভিসি নাসিরের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীসহ নানা অভিযোগ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে।


‘নিজের ইচ্ছামতো বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা’ সহ নানা অনিয়মের অভিযোগে উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিন আলোচনায় উঠে আসেন।


বেশি আলোচনায় আসেন সম্প্রতি উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিনের অশোভন ভাষায় কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এ অডিওতে শোনা যায় ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ কী হওয়া উচিত’ শিরোনামে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার কারণে শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়েছেন তিনি।


অডিওতে শোনা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জিনিয়াকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে গিয়ে উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিন রুঢ় ভাষায় ভৎর্সনা করছেন।


তিনি বলছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কী?… ফাজিল কোথাকার…বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কী তুমি জানো না? বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ তোমাদের মতো বেয়াদব তৈরি করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কী তোর আব্বার কাছে শুনিস। গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনোদিন? আমি খুলছি বলেই তো তোর চান্স হইছে। না হলে তো তুই রাস্তা দিয়া ঘুরে বেড়াতি। বেয়াদব ছেলে-মেয়ে।’


উপাচার্যের ফেসবুক আইডি হ্যাক করার হুমকির অভিযোগ তুলে এই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কারও করা হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ইংরেজি পত্রিকার প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছিলেন জিনিয়া। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আশীকুজ্জামান ভূইয়া জিনিয়ার সাথে উপাচার্যের অশোভন উক্তি ও সাময়িক বহিষ্কারাদেশের পক্ষাবলম্বন করে বলেছেন, ‘কাছের সাংবাদিক হওয়ায় বিভিন্ন পরিকল্পনা ও বাজেট নিয়ে খোঁজ’নিতে যাওয়ায় উপাচার্য স্যার একটু বকে দিয়েছেন। পিতা-মাতা রেগে গেলে অটোমেটিক্যালি এরকম হয়ে যায়।’


তবে ওই অডিওর ভাষা শুনে সাবেক উপাচার্য ও অধ্যাপকরা বলছেন, যাই ঘটুক না কেন, এ ধরনের ভাষার ব্যবহার একজন শিক্ষক বা উপাচার্য করতে পারেন না।


অভিযোগ উঠেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক বছরে যারাই উপাচার্যের কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, তাদের বিভিন্নভাবে হেনেস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। শারীরিক, মানসিকভাবে হয়রানীর শিকার হয়েছেন অনেকেই। নারী কেলেঙ্কারি, ভর্তি বাণিজ্য, বিউটি পার্লার দিয়ে ব্যবসার মতো খবর বিগত কয়েক বছর গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম ও সীমাহীন দুর্নীতি নিয়ে বেশ কয়েকটি তথ্যপূর্ণ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন ডেইলি সান পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ফাতেমা-তুজ-জিনিয়া।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, সত্য উদ্ঘাটনে এইসব প্রতিবেদন প্রকাশের কারণেই জিনিয়া উপাচার্যের রোষানলে পড়েন।


২০১৭ সালে ‘ভিসির বাসভবনে বিউটি পার্লার!’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ভিসি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নিজের বাংলোয় প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও একটি বিউটি পার্লার খুলে বসেছেন। ভিসি নিজে বিউটি পার্লার দেখভাল করেন।’


এই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগে ভিসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ভর্তি বাণিজ্যেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, নতুন ভিসির স্বেচ্ছাচারিতায় অনেক সিনিয়র শিক্ষক চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। তাদের জায়গায় অনভিজ্ঞ শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।


২০১৮ সালের ২২ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এমএলএসএস হিসেবে মাস্টার রোলভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত নারী কর্মচারী আফরিদা খানম ঝিলিক তার শিশু সন্তানকে বুকে জড়িয়ে আর্তনাদ করে ভিসি ভবনের সামনে সন্তানের স্বীকৃতি চান। কান্নাজড়িত কণ্ঠে ঝিলিক বলেছিলেন, ‘আজ আমি সবকিছু ফাঁস করে দেব। খুলে দেব মানুষ নামের নরপশুর মুখোশ। আমার সন্তানের বাবা ভিসি। আমার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। আমার কাছে তোমার সব অপকর্মের প্রমাণ আছে। সবার সামনে তোমার মুখোশ খুলে দেব।’


ভিসি ও অভিযোগকারী


কিন্তু কয়েক ঘন্টা পরেই ২৪ এপ্রিল সকালে গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভিসির বিরুদ্ধে দেয়া আগের অভিযোগ প্রত্যাহার করে আফরিদা খানম ঝিলিক বলেন, ‘গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চাকরি দেয়ার কথা বলে দেননি। এ জন্য ক্ষুব্ধ হয়ে স্যারের বিরুদ্ধে এসব কথা বলেছি। আসলে স্যার খুব ভালো মানুষ। আমাকে চাকরি দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তাই আমি আমার বক্তব্য প্রত্যাহার করছি।’


এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও গোপালগঞ্জের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা দাবি করেন, আফরিদা খাতুন ঝিলিকের প্রচারিত বক্তব্য যদি অসত্য হয় তবে তাকে আইনের আওতায় না এনে কেন চাকরির প্রস্তাব দেয়া হলো? এমন অসৎ ব্যক্তিদের যেন চাকরিতে না নেয়া হয়। সেই সঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন তারা।


ঢাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ


তারা বলেন, এতবড় অভিযোগ শুধু চাকরির আশ্বাস ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হতে পারে না। জাতির জনকের নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষার্থে সবার সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন।


সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাবির সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’ ব্যানারে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।


এদিকে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় খুলনায় বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থী ও ইংরেজি দৈনিক সানর ক্যাম্পাস প্রতিনিধি ফাতেমা তুজ জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কারের প্রতিবাদে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে এ মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।


বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীফাতেমা তুজ জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কারের প্রতিবাদে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) মানববন্ধন


কে এই খোন্দকার নাসির উদ্দিন?


অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পান। ২০১৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় মেয়াদে পরবর্তী ৪ বছরের জন্য উপাচার্য নিয়োগ পান।


গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণকারী খোন্দকার নাসির উদ্দিন পূর্বে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। নব্বই দশকের শুরুতে তাকে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপি সমর্থিত শিক্ষকদের সোনালী দল করতেন বলে জানা যায়।


বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে খোন্দকার নাসির উদ্দিনের সহকর্মী, বর্তমানে কানাডা প্রবাসী, ফরিদ আহমেদ তার ফেসবুক পোস্টে অতীত সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দেন।


ফরিদ আহমেদ লিখছেন, “সালটা তিরানব্বই বা চুরানব্বই হবে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার আমি তখন। খুব বেশিদিন হয়নি জয়েন করেছি সেখানে। বিএনপির তখন রমরমা অবস্থা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ও তার ব্যতিক্রম না। ছাত্র রাজনীতিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একচ্ছত্র আধিপত্য চলছে। শিক্ষক রাজনীতিতেও বিএনপি এবং জামাতের সুস্পষ্ট প্রাধান্য। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের তিনটা দল ছিলো্। একটা হচ্ছে বিএনপি সমর্থিত শিক্ষকদের দল। যার নাম ছিলো সোনালী দল। আরেকটা হচ্ছে আওয়ামী লীগ সমর্থক এবং বামপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন। সেটার নাম হচ্ছে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম। আর তৃতীয়টা ছিলো জামাতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন আদর্শ শিক্ষক পরিষদ।”



তিনি লিখেছেন, “ওই বছর (১৯৯৪) নির্বাচনে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম আমাকে নমিনেশন দেয় যুগ্ম সম্পাদক পদে। আমার বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন খোন্দকার নাসিরউদ্দিন। তিনি আমার বেশ সিনিয়র। কিছুদিন আগে পিএইচডি করে এসেছেন। তখন তিনি সহকারী প্রফেসর। এর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সহযোগী প্রফেসর হয়ে গিয়েছিলেন। নির্বাচনে আমার হার নিশ্চিত ছিলো। শুধু দলীয় শক্তিমত্তার অসামঞ্জস্যের কারণে নয়। আরো কয়েকটা সুস্পষ্ট কারণ ছিলো এর পিছনে। আগেই বলেছি, আমি উনার চেয়ে অনেক জুনিয়র ছিলাম। শিক্ষাদীক্ষায় পিছিয়ে ছিলাম। তার উপরে তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় ফ্যাকাল্টি এগ্রিকালচার ফ্যাকাল্টির শিক্ষক ছিলেন তিনি। তেইশ ভোটের ব্যবধানে আমি উনার কাছে হেরে যাই। ”


ফরিদ আহমেদ এরপরে লিখেছেন, “দেশ ছেড়ে আসার বেশ কয়েক বছর পর হঠাৎ করে পত্রিকায় দেখি নাসির ভাই গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চায়ন্সেলর হয়েছেন। এই সংবাদ প্রবল বিস্ময় হয়ে আসে আমার জন্য।”


তিনি লিখেছেন, “বিস্ময়ের কারণ হচ্ছে, উনি ভিসি হয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের মাধ্যমে। যিনি সারাজীবন আওয়ামী বিরোধী রাজনীতি করলেন, তিনিই কিনা বঙ্গবন্ধুর নামে হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর হলেন! এর থেকে বিস্ময়কর আর কী হতে পারে আমার জন্য!”



ফরিদ আহমেদ ক্ষোভের সাথে লিখছেন, “সরকারের লোকজন কি ভিসি করার আগে সামান্য ব্যাকগ্রাউন্ড চেকটাও করে না? লোকমুখে শুনেছি ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে তিনি রঙ পরিবর্তন করেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটা বই লেখেন। সেটাকে পুঁজি করেই ভিসি হন। এগুলোর সত্য-মিথ্যা আমি জানি না। আমি শুধু জানি, সরকারের যে অংশ ভিসি নিয়োগে কাজ করে, সেই অংশ সঠিকভাবে তাদের কাজ করেনি। বিএনপিপন্থী একজন চিহ্নিত শিক্ষককে তারা নিয়োগ দিয়েছেন ভিসি হিসাবে।”


বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জের উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের এসমস্ত কেলেঙ্কারি সম্পর্কে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন মন্তব্য করেন, “খুবই খারাপ লেগেছে। অনেক সময় অনেকে ইন্টারনেটে কমেন্ট করে কিন্তু তার (উপাচার্য) জায়গা থেকে এরকম রিঅ্যাক্ট করাটা একদমই ঠিক নয়।’


তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যেকোনো ধরনের মন্তব্য ও মতামত ব্যক্ত করার স্বাধীনতা শিক্ষার্থীর আছে। উপাচার্য এই ভাষায় যদি বলে থাকেন তাহলে আমি মনে করি না বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের সামান্যতম যোগ্যতা তার আছে। এ ধরনের আচরণের কারণে এই পজিশনগুলো মলিন হয়ে ওঠে।”


মুক্তিযুদ্ধ গবেষক অধ্যাপক আফসান চৌধুরী বলেন, “সত্যিই কি এসব ভাষা ব্যবহার করা যায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় যে প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হয় সেসবের কারণেই যোগ্যতার বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে। উনাদের নজরদারির কোনো ব্যবস্থা নেই? যে ভাষা তিনি ব্যবহার করছেন তা অকল্পনীয়। আমার মনে হয় না এরপরও তার কিছু হবে।”


উপাচার্য নিয়োগের মানদণ্ডের ব্যাপারে মনোযোগী না হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেন সকলেই। এ শিক্ষার মান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সকল মহলের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্বশাসন সংক্রান্ত ৭৩ এর অধ্যাদেশকে সমুন্নত করা উচিত বলে মনে করেন সকলে।


বিবার্তা/প্রতিনিধি/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com