বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিট দিয়ে শুরু হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষের (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা।

আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এবার ভর্তি পরীক্ষায় কোনো ধরনের জালিয়াতির সুযোগ নেই বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে আমরা যথেষ্ট সতর্ক।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য জানান তিনি। ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

গত দুই বছরের মতো এবারো ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এক হাজার ২৫০ আসনের জন্য পরীক্ষায় অংশ নেবেন ২৮ হাজার ৯৫৮ জন। প্রতি আসনের জন্য লড়বেন ২৩ জন পরীক্ষার্থী। গত বছর সমান সংখ্যক আসনের বিপরীতে আবেদন করেন ২৬ হাজার ৯৬০ জন।

এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এবার প্রথম নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষা নেয়া হবে। নৈর্ব্যক্তিক অংশ হবে ৭৫ নম্বর এবং লিখিতভাবে ৪৫ নম্বর।

১২০ নম্বরে পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা সময় পাবে দেড় ঘণ্টা আর এর মধ্যে নৈর্ব্যক্তিক অংশের জন্য ৫০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য সময় পাবে ৪০ মিনিট। প্রতিটি প্রশ্নের মান হবে ১.২৫। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে।

ভর্তি পরীক্ষার নিরাপত্তা ও পরিচালনার বিষয়ে প্রক্টর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব ধরনের অপরাধ রুখতে পুলিশ, গোয়েন্দা টিম, প্রক্টরিয়াল টিম ও বিএনসিসি কাজ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা না ঘটে সে জন্য আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে।

তিনি বলেন, কোনো ধরনের ভর্তির জালিয়াত যেন না হয় সে বিষয়ে আমরা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারছি। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা আমরা দেব। এবার আমরা ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তি জালিয়াতির জন্য জিরো টলারেন্স ঘোষণা করছি।

বিবার্তা/রবি