শিরোনাম
কাস্টমস কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা করত তারা
প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০১৯, ২১:২৫
কাস্টমস কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা করত তারা
বিবার্তা প্রতিবেদক:
প্রিন্ট অ-অ+

সাদা শার্টের সঙ্গে কাঁধে র‌্যাংক ব্যাজ। চলাচল করেন দামি গাড়িতে করে। কথায় পুরোপুরি আত্মবিশ্বাস। দেখতে অনেকটা কাস্টমস কর্মকর্তার মতো। বাস্তবে সবই ভুয়া। তারা কেউই কাস্টমস কর্মকর্তা নয়, সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। ছদ্মবেশ ধারণ করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় তারা।


মঙ্গলবার রাতে র‌্যাব মিরপুর থেকে এ চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করে। আটকৃতরা হলো- নুরুল হক (৫৭), শেখ আলম (৪৩), ফিরোজ আলম (৫৭), মোশারফ (৫৪), মাসুদ রানা (৪৩), রেনু মিয়া ওরফে রনি (৩৮)।


বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৪ এর কমান্ডিং অফিসার (অধিনায়ক) চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির বলেন, ‘ছয় সদস্যের এ প্রতারক চক্রের প্রধান কাস্টমস সহকারী কমিশনার (এসি) পরিচয় দেওয়া নুরুল হক (৫৭)। দামি গাড়ি হাঁকিয়ে নিজের এ পরিচয়কে বিশ্বাসযোগ্য করেন তিনি। এই চক্রের সদস্যরা নিজেদের কাস্টমস কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে, শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীদের চাকরি দেওয়ার কথা বলে এবং ব্যবসায়ীদের কাছে কম মূল্যে স্বর্ণ বিক্রির কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।


র‌্যাব অধিনায়ক বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে তাদের চক্রের দু-একজন সদস্য আছে। যারা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে টার্গেট ভিকটিম ও গ্রাহক চিহ্নিত করে। তারপর মানুষ অনুযায়ী কৌশল নির্ধারণ করে প্রতারণা করে। প্রতারণার কৌশল হিসেবে প্রতারক চক্রটি শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীকে কাস্টমস অফিসার হিসেবে চাকরি দেওয়ার লোভনীয় অফার দিত। এজন্য মোটা অঙ্কের টাকা চাইতো। তারা বিশ্বাস অর্জনের জন্য কাস্টমস র‌্যাংক, ব্যাজ, ইউনিফর্ম চাপিয়ে দামি গাড়িতে করে নিরাপদ স্থানে গিয়ে সাক্ষাৎ করতো। টাকার অঙ্ক নির্ধারণ হওয়ার পর নিয়োগপত্র দেওয়ার জন্য তারিখ নির্ধারণ করে। সেই তারিখের আগেই মোটা অঙ্কের টাকা পরিশোধ করতে বাধ্য করে। টাকা হাতিয়ে নিয়ে মোবাইল সিম বন্ধ করে তারা আত্মগোপনে চলে যায়।’


আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির জানান, এ প্রতারক চক্র আরেকটি প্রতারণার কৌশল অবলম্বন করতো। তারা বিভিন্ন দোকানি ও ব্যবসায়ীদের কাস্টমসে জব্দ স্বর্ণের বার, বিস্কুট, জাপানি পার্টস, কটন সুতা, গোল্ডেন সুতা, স্বর্ণের চেইন, মোবাইল, টিভি, ল্যাপটপ ইত্যাদি কম মূল্যে বিক্রির অফার দিত।


এ ধরনের মালামাল সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে আমদানি করার কারণে কাস্টমস এগুলো জব্দ করেছে বলে তাদের প্রলোভন দেখাতো। লোভনীয় অফারে প্রলুব্ধ হয়ে তা ক্রয় করতে আগ্রহী হতেন অনেক ব্যবসায়ী। পরে চক্রটি সুকৌশলে মালামাল দেওয়ার তারিখ ঠিক করে এবং মূল্যের একটি অংশ অগ্রিম হিসেবে আদায় করে এবং ভুয়া চুক্তিনামা তৈরি করে। এভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।’


বিবার্তা/খলিল/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com