সহযোগী অধ্যাপক ডা. রাজন কর্মকারের আকস্মিক মৃত্যুতে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও তার পরিবার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ৪টার( ১০ মার্চ) দিকে মারা যান ডা. রাজন কর্মকার। তিনি সাধন চন্দ্র মজুমদারের জামাতা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন।
সেদিন রাতে তিনি হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। রাতে তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিলে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
বর্তমান খাদ্যমন্ত্রীর মেয়ে ডা. কৃষ্ণা মজুমদারও একই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োজিত আছেন। দুইজন একই পেশার হওয়াতে তাদের মাঝে বোঝাপড়ায় কোনো কমতি ছিল না। ভালোবাসায় পরিপূর্ণ ছিল তাদের সংসার। কর্মজীবন আর সামাজিক জীবন মিলিয়ে তাদের ভালোবাসার কমতি ছিল বলার কোনো সুযোগ নেই। হাস্যোজ্জ্বল আর ভালোবাসাপূর্ণ ছবিগুলো সাক্ষী দেয় কতটা বোঝাপড়ার আর সাজানো ছিল তাদের সংসার জীবন।
একদিকে জামাতার অকাল মৃত্যুতে শোকাহত খাদ্যমন্ত্রী ও তার পুরো পরিবার অন্যদিকে রাজনের মৃত্যু নিয়ে জল ঘোলা করে চলেছেন ষড়যন্ত্রকারীরা। ডা. কৃষ্ণা মজুমদারের নামে দেয়া হচ্ছে তার প্রাণের চেয়েও প্রিয় ভালোবাসার মানুষকে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ। অথচ যারা খাদ্যমন্ত্রী ও তার পরিবারকে বিপাকে ফেলতে রাজনের মৃত্যু নিয়ে ঘৃণ্য খেলায় মেতে উঠেছেন তারা কি একটিবারের জন্য নিজের পরিবার কিংবা বোনের কথা ভেবে দেখেছেন যে, এমন শোকের সময় যদি তাদের পরিবারের কাউকে সান্ত্বনা না দিয়ে উল্টো হত্যার অভিযোগ চাপিয়ে দেয়া হতো তাহলে তাদের কেমন লাগত? রাজনের মৃত্যু তাদের সাজানো সংসারটাকে তছনছ করে দিয়েছে। শোকাহত হয়ে খাদ্যমন্ত্রীর মেয়ে ঘরের প্রতিটি কোণে তার প্রিয় মানুষটিকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
এদিকে জামাতার মৃত্যুতে শোকাহত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি যেন কোনোভাবেই অকালে তার মেয়ের এ অপূরণীয় ক্ষতি মেনে নিতে পারছেন না। প্রতিনিয়ত নিজের মেয়েকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে চোখের পানি ফেলছেন নীরবে মন্ত্রী।
বিবার্তা/আকবর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]