মো. গোলাম ফারুক আটটি মামলার আসামি। সে ২০০৯ সালে চাঁপাই নবাবগঞ্জের হতদরিদ্র পরিবার থেকে শূন্য হাতে ঢাকায় আসে। ঢাকায় এসে গাজীপুরের এক গ্রুপের সাথে পরিচয় হয়। তার সাথে সে অস্ত্র ব্যবসা শুরু করে। পাশাপাশি গাজীপুরে সে একটি গামেন্টর্স ফ্যাক্টরি দেয়।
এর কিছুদিন পর সে শুরু করে ইয়াবা ব্যবসা। প্রথমে সে টেকনাফ থেকে নুরুল হক ভুট্টোর চাচা গুড়া মিয়ার সাথে ইয়াবা ব্যবসা শুরু করে। তার পরে সে নুরুল হক ভুট্টো ও তার ভাই নুর মোহাম্মদর কাছ থেকে ইয়াবা এনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করে। এভাবে ইয়াবা ব্যবসার মাধ্যমে সে প্রায় শত কোটি টাকার মালিক বনে যায়।
মঙ্গলবার সিআইডির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম।
তিনি জানান, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানার একটি মাদক মামলার তদন্ত শুরু হয়। ওই মামলার সূত্র ধরে আরেকটি মানিলন্ডারিং মামলার অনুসন্ধান শুরু হয়। পরে ২০১৭ সালে আগস্ট মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আসামি ও মাদকের গডফাদার নুরুল হক ভুট্টো, তার বড় ভাই নুর মোহাম্মদ, তার বাবা এজাহার মিয়া, তার ভাগ্নে ও কয়েকজন বিকাশ এজেন্টসহ মোট ১৭ জনের নামে টেকনাফ মডেল থানায় মানিলন্ডারিং মামলা করা হয়।
তাদের অর্থনৈতিক লেনদেনের সূত্র ধরেই মিরপুর সেনপাড়া থেকে মাদকের গড ফাদার আফজাল হোসেন ইমন, তার স্ত্রী সাদিয়া আফরোজ, ছেলে সালাহউদ্দিন ওরফে প্রিন্স ও বিকাশের এজেন্ট স্বপনকে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া নুরুল হক ভুট্টো ও তার বড় ভাই নুর মোহাম্মদের অর্থনৈতিক লেনদেনের সূত্র ধরে মিরপুর বিহারি ক্যাম্প এলাকা থেকে অপর মাদক সম্রাজ্ঞী রূপা ইসলাম, তার স্বামী আল আমিন, তাদের সহযোগী ফয়সাল, রিয়াজ ও বিকাশের এজেন্ট জনি, কুদ্দুসকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের আরেকটি লেনদেনের সূত্র ধরে নরসিংদী থেকে মাদকের ডিলার রায়হান, মো. আসাদুজ্জামান ও স্বপনকে গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তীতে নুরুল হক ভুট্টো, তার বড় ভাই নুর মোহাম্মদ ও তার পিতা মো. এজাহার মিয়ার অর্থনৈতিক লেনদেনের সূত্র ধরে কেরানীগঞ্জ ঢাকা থেকে বিকাশের এজেন্ট আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের আরেকটি লেনদেনের সূত্র ধরে টঙ্গী গাজীপুর থেকে মাদক সম্রাজ্ঞী রানী, তার ব্যবসায়িক সহযোগী নাঈম হোসেন, ইব্রাহীম এবং বিকাশের এজেন্ট শাহাজালাল ও নাসিরউদ্দিন সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়। আরেকটি লেনদেনের সূত্র ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে মো. মুসামিয়া নামের আরেক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
নুরুল হক ভুট্টো, তার বড় ভাই নুর মোহাম্মদ ও তার পিতা মো. এজাহার মিয়ার অর্থনৈতিক লেনদেনের সূত্র ধরে জয়পুরহাট থেকে উত্তর অঞ্চলের মাদকের গড ফাদার আবুল হোসেন ওরফে গোল্ড আবুলকে গ্রেফতার করা হয়। সর্বশেষ সোমবার ও আজ মঙ্গলবার মাদকের গডফাদার ও আর্মস ডিলার মো. গোলাম ফারুক ও তার স্ত্রী আফরোজা আক্তার ওরফে এ্যানীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বিবার্তা/খলিল/কাফী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]