রাজধানীর গুলশানে দুটি মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহীসহ চারজন আহত হয়েছেন। আহতদের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আহতদেরকে গুলশান থানা পুলিশ হয়রানি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গুলশান ২ এর অস্ট্রোলিয়ান দূতাবাসের সামনে দিয়ে বসুন্ধরার আবাসিক এলাকার আরিফ আহমেদের গাড়িতে (ঢাকা মেট্রো ১৫১২১৫) তার মা ও বোন বাসায় যাচ্ছিলেন। এমন সময় ইউটার্ন নিয়ে একটি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো চ ১৩-৩৮৫৮) রাস্তার মাঝখানে সামনে এসে যায়। তখন সংঘর্ষে দুটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাথায় ও মুখে আঘাতপ্রাপ্ত আরিফ আহমেদের মাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অপর গাড়িটি ঢাকা ব্যাংক কর্মকর্তা নীলা জাকারিয়ার গাড়ির ভেতরে তিনি ছিলেন। ঘটনাস্থলের অদূরেই তার বাসা। ঢাকা ব্যাংক কর্মকর্তার গাড়ি চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ বলে জানা গেছে।
এদিকে, ঘটনার পর গাড়ি দুটিকে গুলশান থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে নেয়ার পর দু’পক্ষ মীমাংসার চেষ্টা করে। কিন্তু গুলাশান থানা পুলিশ বিষয়টি নিয়ে নানা ধরনের টালবাহানা শুরু করে বলে অভিযোগ করেছে আহত পক্ষ।
বসুন্ধরার আবাসিক এলাকার আরিফ আহমেদ বলেন, আমাদের গাড়ি গুলশানের রাস্তার নির্ধারিত গতি সীমা মেনে চলছিলো। ইউটার্ন নেয়ার আগে রাস্তার অপর পাশে গাড়ি আছে কি না সেটা দেখতে হয়। ঢাকা ব্যাংক কর্মকর্তার গাড়িচালক সেটা না দেখে ঢুকে পড়লে দুর্ঘটনা হয়। আহত তার মা ও বোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়া দুই গাড়ির সংঘর্ষের পরে একজন মোটরসাইকেল চালকও আহত হয়েছে বলে জানান তিনি।
গুলশান থানায় সাথে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ জানায়, উভয় পক্ষই থানায় আছে। বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে। মীমাংসা না হলে উভয়পক্ষের মামলা নেয়া হবে। কিন্তু রাত ১০টার দিকে আরিফ আহমেদ জানান, বিষয়টি মীমাংসা হয়নি। বরং উল্টো পুলিশ তাদের হয়রানির চেষ্টা করছে। এছাড়া তারা থানায় অভিযোগ দাখিল করলেও তাদের অভিযোগ নিচ্ছে না পুলিশ।
এরপর গুলশান থানার এসআই মাসুমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, উভয় পক্ষ থানায় এসেছে। বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা চলছে।
বিবার্তা/খলিল/কাফী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]