রাজধানীর মিরপুর মডেল থানা এলাকা থেকে অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ইস্যু করা গ্রামীণ সিম রেজিস্ট্রেশনকারী প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। তারা অনুমতি ছাড়া ৪২টি কোম্পানির নামে উত্তোলন করা সিম অবৈধভাবে অপরাধীদের কাছে বিক্রি করে আসছিল। আর অপরাধীরা
রবিবার দুপুরে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির এসব তথ্য জানান। ওই সব মিস বিভিন্ন জনকে হুমকি ও চাঁদাবাজির কাজে অপরাধীরা ব্যবহার করছে বলেও জানান তিনি।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক জানান, গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ভাসানটেক থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন শ্রীলঙ্কান এক নাগরিক। অভিযোগে তিনি বলেন- গ্রামীণফোনের দুটি নাম্বার থেকে (০১৭৮৯ ৮২২১৮৯ ও ০১৭৫৫ ৫৯৩২৯১) তার কাছে ১০ কোটি টাকা চাঁদা চাওয়া হয়েছে। চাঁদা না দিলে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়।
র্যাব ওই সাধারণ ডায়েরির তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারে চাঁদা ও হত্যার হুমকিতে ব্যবহৃত সিম দুটি ‘মাইক্রোকডেস ইনফরমেশন’ নামক একটি সংস্থার অনুকূলে রেজিস্ট্রিকৃত এবং তৌফিক হোসেন খান পলাশের মালিকানাধীন ‘মোনাডিক বাংলাদেশ’ নামে ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের মাধ্যমে ইস্যুকৃত। আর ওই সিম ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের তদারকির দায়িত্বে ছিলেন গ্রামীণফোনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (বিজনেস সেলস) সৈয়দ তানভীরুর রহমান। পরে গতকাল শনিবার রাতে তানভীরুর ও পলাশকে আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান, তারা ৪২টি কোম্পানির অনুকূলে ৮৬৭টি সিম ইস্যু করা হয়েছে। আর ওইসব সিম তারা পরবর্তীতে বেশি দামে অন্যত্র বিক্রি করে। এ সকল সিম অবৈধ হুমকি ও চাঁদাবাজি এবং অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসাসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কাজ ব্যবহার করা হয়।
বিবার্তা/খলিল/কামরুল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]