শিরোনাম
‘জন্মদিনের পার্টিতে গিয়ে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা মামুন’
প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০১৮, ১৬:২৫
‘জন্মদিনের পার্টিতে গিয়ে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা মামুন’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যার ঘটনায় আরো ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা পূর্ব বিভাগের একটি টিম।


গ্রেফতারকৃতরা হলো- মিজান শেখ, মেহেরুন্নেছা স্বর্ণা ওরফে আফরিন ওরফে আন্নাফি, সুরাইয়া আক্তার ওরফে কেয়া ও ফারিয়া বিনতে মীম। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ সময় তারা জানিয়েছেন বনানীতে বার্থডে পার্টিতে নিয়ে খুন করা হয়েছে মামুনকে।


বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এমন তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবদুল বাতেন।


তিনি জানান, বুধবার রাতে রাজধানীর বাড্ডা ও হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।


তিনি বলেন, রহমত উল্লাহ ইন্সপেক্টর মামুনে বন্ধু। রহমত উল্লাহ পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার। তাদের মধ্যে ৪ থেকে ৫ বছরের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তারা দুইজনে বিভিন্ন নাটক ও সিরিয়ালে অভিনয় করতেন। গ্রেফতারকৃত আফরিনের সাথে রহমত আগে অভিনয় করেছেন। আফরিন কল করে রহমতকে তার বান্ধবীর বার্থডে পার্টিতে আমন্ত্রণ জানায়।


রহমত পার্টিতে একা না গিয়ে ইন্সপেক্টর মামুনকে সঙ্গে নিয়ে যায়। পার্টি করতে বনানীর বাসায় গেলে তাদেরকে বাসার দুই তলায় নিয়ে যায়। হঠাৎ করে স্বপন, দিদার, আতিক ও মিজান ওই বাসায় ঢুকে অনৈতিক কাজের অভিযোগে মামুন ও রহমত উল্লাহকে আটকে রেখে মারধর করে।


মারধরের এক পর্যায়ে মামুন মারা যায়। মামুন মারা গেলে তারা হতবিহ্বল হয়ে যায়। রহমতের হাত-পায়ের বাঁধ খুলে দেয়। এক পর্যায়ে তারা মামুনের লাশ গুম করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে গত ১০ জুলাই গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানাধীন উলুখোলা এলাকায় রাস্তার পাশে একটি জঙ্গল মামুনের বস্তাবন্দি লাশ ফেলে পরিচয় গোপন করার জন্য লাশে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে চেহারা বিকৃত করে। গোয়েন্দা পুলিশের কাছে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য দিয়েছে রহমত উল্লাহ। রহমতের দেখানো মতে গাজীপুরের উলুখোলা থেকে মামুনের বিকৃত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।


রহমতের দেয়া তথ্য মতে গত বুধবার রাতে বাড্ডা ও হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়।


ইতোমধ্যে গ্রেফতারকৃত রহমতউল্লাহ আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন জানিয়ে আবদুল বাতেন বলেন, গতরাতে গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ সময় গ্রেফতারকৃত মেহেরুন্নেছা স্বর্ণা ওরফে আফরিন ওরফে আন্নাফি জানায়, তার আমন্ত্রণে আসামি রহমতউল্লাহ ভিকটিম মামুনকে বনানীর মডেল টাউনস্থ রোড নং-২/৩ এর ৫ নং বাড়িতে নিয়ে যান।


এজাহারভুক্ত আসামিরা ওই বাড়িতে মামুনকে মারধর করে হত্যা করে। পরবর্তী সময়ে মামুনের লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে রহমতউল্লাহর গাড়িযোগে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানাধীন উলুখোলা এলাকায় রাস্তার পাশে একটি জঙ্গলে নিয়ে যায়। মামুনের পরিচয় গোপন করার জন্য লাশে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে চেহারা বিকৃত করা হয়।


উল্লেখ্য গত ৮ জুলাই সবুজবাগ থানায় মামুনের নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি জিডি করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশ ওই জিডির ছায়াত দন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ১০ জুলাই ভিকটিম মামুনের বন্ধু রহমতউল্লাহকে গ্রেফতার করে। রহমতউল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মামুন এমরান হত্যার বর্ণনাসহ জড়িত সবার নাম প্রকাশ করেন।


বিবার্তা/খলিল/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com