শিরোনাম
১২০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি; গ্রেফতার ২
প্রকাশ : ১৭ মে ২০১৮, ১৫:০৭
১২০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি; গ্রেফতার ২
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

অবৈধভাবে পণ্য খোলাবাজারে বিক্রি করে ১২০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির দায়ে এক প্রতিষ্ঠানের দুইজন উধ্বর্তন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে মঙ্গলবার তাদের গ্রেফতার করা হয়।


গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নড়াইল-১ এর সাংসদ কবিরুল হক মুক্তির ব্যবসায়িক পার্টানারসহ প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাসটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবিদুল ইসলাম ও পরিচালক খন্দকার সুরাত আলী। একইদিন প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর (মামলা নম্বর-১২/১৭০)।


মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, পরিচালক এম হক বাবু ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।


শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানাগেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের একটি গোয়েন্দা দল গত বছরের ২০ আগস্ট একটি কাভার্ড ভ্যান আটক করে। চট্টগ্রাম থেকে ওইকাভার্ড ভ্যানটি(ঢাকা মেট্রো ট-১৪-২৮২৩) ঢাকায় পণ্য নিয়ে আসে।


পুরান ঢাকার ইসলামপুরে পণ্য খালাস করার পূর্ব মুহূর্তে গাড়ির চালকের কাছে পণ্যের স্বপক্ষে চালান দেখাতে বলা হলে তিনি পণ্যের স্বপক্ষে বিল অব এন্ট্রি, তানিয়া কার্গো সার্ভিসের ডেলিভারি চালান ও ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির চালান প্রদর্শন করেন।


মেসার্স মাসটেক্স ইন্ডাট্রিজ লি., ৯১, ধউর, থানা রোড, তুরাগ, ঢাকা নামীয় প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল কেন ইসলামপুরে আনা হয়েছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাড়ির চালক জানান, কাস্টমস হাউস চট্টগ্রাম থেকে পণ্য বোঝাই করে গাড়িটি প্রথমে উল্লেখিত ঠিকানায় নেয়ার জন্য ভাড়া করা হয়। পরবর্তীতে ঢাকার কাছাকাছি আসার পরে ট্রাক বোঝাই কাপড় ইসলামপুর নিয়ে আসার জন্য বলা হলে তিনি ইসলামপুর নিয়ে আসেন।


আইএম-৭ এর মাধ্যমে শুল্কমুক্ত সুবিধার কাঁচামাল বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ইসলামপুর আনা হয়েছে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে শুল্ক গোয়েন্দা দল ওই পণ্যসহ গাড়িটি আটক করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, সেগুনবাগিচায় নিয়ে আসে।


পরে ওই প্রতিষ্ঠানের আমদানি-রপ্তানিসহ যাবতীয় কার্যক্রম অনুসন্ধানের জন্য শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি খোঁজ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ১২০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির তথ্য জানতে পারে।


বিশ্বস্ত সূত্রে আরো জানা যায়, সৈয়দ আবিদুল ইসলাম নড়াইল-১ (কালিয়া-নড়াগাতি) এর এমপিকবিরুল হক মুক্তির বিশ্বস্ত সহযোগী এবং ব্যবসায়িক পার্টনার। কবিরুল হকের বেশিরভাগ অর্থ আবিদুল ও শ্যালকের নিকট সংরক্ষিত থাকে বলে জানা গেছে।


কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং সাবেক পৌর মেয়র ইকরামুল হক টুকু জানান, মুক্তির অবৈধ আয় এবং দুর্নীতির টাকা লেনদেন হয় এই আবিদুলের হাত ধরে। এমপির টাকা বিভিন্ন দেশে পাচারের সহযোগিতা করেছে এই ব্যবসায়ী। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আরেক নেতা বলেন, এমপি মুক্তি তার দুর্নীতির টাকা পাচার করতো এই আবিদুলের মাধ্যমে।


উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সরঞ্জামসহ রাজধানীর গুলশান থেকে আবিদুলকে আটক করে পুলিশ। সেই সময় মুক্তি তার প্রভাব খাটিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেন।


বিবার্তা/বাণী/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com