রাজধানীর বনানীতে ব্যবসায়ী সিদ্দিক হোসেন মুন্সি হত্যার ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী হেলাল ও হত্যার নিদের্শ প্রদানকারী ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। তারা ছাত্রদলের মধ্যমসারির নেতা বলে জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের প্রধান মোঃ মনিরুল ইসলাম।
বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এমন তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
মনিরুল জানান, গত ২৪ নভেম্বর ব্যবসায়ী সিদ্দিক মুন্সী হত্যার পর সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ, ডিবি ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের সদস্যরা তদন্তে নামে। তদন্তের এই পর্যায়ে ওই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা মোঃ হেলাল উদ্দিনকে (৩৮) শুলশানের কালাচাঁদপুর এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতারের সময় হেলাল ও তার সহযোগিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। পরে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এক পর্যায়ে হেলালকে গ্রেফতার করা হয়। তবে বাকিরা পালিয়ে যায়।
মনিরুল জানান, হেলাল এক সময় ছাত্রদল করত। সে ছাত্রদলের মধ্য সারির নেতা। এছাড়া সিদ্দিক মুন্সি হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ প্রদানকারী একজন প্রবাসী। সেই প্রবাসীও ছাত্রদলের নেতা ছিলেন বলে জানান তিনি।
অর্থের লোভে সিদ্দিক মুন্সিকে খুন করা হয়েছে জানিয়ে মনিরুল বলেন, খুনিরা পেশাদার। খুনের সময় হেলালসহ মোট ছয়জন ঘটনাস্থলে অবস্থান করেন। এর মধ্যে চারজন ভেতরে প্রবেশ করে এবং হেলাল ও আরেকজন বাইরে অবস্থান করে। তাদের মধ্যে কমান্ডার ছিল হেলাল। তাই সে বাইরে থেকে নেতৃত্ব দেয়।
হত্যাকাণ্ডে ২৫ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে জানিয়ে মনিরুল বলেন, তাদের ছয়জনের কাছেই অস্ত্র ছিল। তারা হত্যার জন্যই এতো রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। ওই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছয়টি অস্ত্রের মধ্যে পাঁচটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বাকি অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ওই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আরো দুইজনকে সনাক্ত করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, বাকিদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এছাড়াও হেলালকে আজ আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে। রিমান্ডে নিলে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
১৪ নভেম্বর রাতে বনানীর ৪ নম্বর রোডের বি-ব্লকের ১১৩ নম্বর বাড়ির এমএস মুন্সি ওভারসিজের (রিক্রুটিং এজেন্সি) মালিক সিদ্দিক হোসেন মুন্সীকে (৫০) গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ওই প্রতিষ্ঠানের আরো তিন কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। পরে এ ঘটনায় সিদ্দিকুর রহমান মুন্সির স্ত্রী বাদি হয়ে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এক পর্যায়ে মামলাটি থানা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে আলোচিত ওই মামলাটির তদন্ত শুরু করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তর বিভাগের একটি টিম।
বিবার্তা/খলিল/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]