জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার ভাদশা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি মো. মুন্না পারভেজকে (২৮) গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর তুরাগ থানার রানাভোলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার বিকাল ৩টার দিকে রাজধানীতে র্যা বের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১ সিও তুহিন মোহাম্মাদ মাসুদ।
তিনি জানান, জয়পুরহাটের সদর উপজেলার নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. মাহমুদ মৃধার ছেলে মুন্না পারভেজ আবুল কালাম আজাদ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি। সে দীর্ঘ দিন পলাতক ছিল। মঙ্গলবার রাতে তুরাগ থানার রানাভোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও দুই রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়।
মুন্না প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন জানিয়ে তুহিন মোহাম্মাদ মাসুদ জানান, ‘ঘটনার দিন দূর্গাদহ বাজারে বৈঠক করে আবুল কালামকে হত্যার পরিকল্পনা করে মুন্না, মুনির, নাজিমসহ বাকি আসামিরা। এছাড়াও ওই হত্যার জন্য ভাদশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাতেমের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেয়া হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পরিকল্পনা অনুযায়ী মুন্না ওই মামলার আরেক আসামি সৈকতকে আবুল কালামের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে বলে। ওই দিন রাত সোয়া ৯টায় সৈকত মোবাইল ফোনে আবুল কালামের গতিবিধির কথা মুন্নাকে জানায়। মোটরসাইল যোগে আবুল কালাম আজাদ গোপালপুর বাজার অতিক্রম করার পর সাইফুল, মুন্না পারেভজ, মো. নাজিম, সোহেল, সৈকত, রাজু ও হাকিম তার উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে আবুল কালাম দৌঁড়ে পালাতে চেষ্টা করেন। এ সময় মুন্না ও নাজিম তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পরবর্তীতে ১২ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবুল কালাম আজাদ।
প্রসঙ্গত, আবুল কালাম আজাদ ভাদশা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বিবার্তা/খলিল/পলাশ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]