শিরোনাম
দেশেই সক্রিয় এটিএম কার্ড জালিয়াত চক্র
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০১৭, ২০:২১
দেশেই সক্রিয় এটিএম কার্ড জালিয়াত চক্র
খলিলুর রহমান
প্রিন্ট অ-অ+

আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত আন্তর্জাতিক এটিএম কার্ড জালিয়াত চক্রের সহযোগিতায় দেশে এটিএম কার্ড জালিয়াত চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।


সম্প্রতি র‌্যাবের অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে এসেছে।


র‌্যাব জানায়, আন্তর্জাতিক কার্ড জালিয়াত চক্র প্রথমে আন্তর্জাতিক এটিএম (ডেবিট/ক্রেডিট) কার্ড হ্যাক করে। সেই হ্যাকিং করা কার্ড নাম্বার বাংলাদেশে অবস্থানরত জালিয়াত চক্রের কাছ পাঠানো হয়। সেই নাম্বারটি নিজেদের কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে প্রবেশ করিয়ে এবং এমএসআরএম মেশিন দিয়ে বিশেষ কায়দায় কার্ডটি ব্যবহার উপযোগী করে এদেশীয় জালিয়াতরা। এরপর পূর্ব থেকে যোগাযোগ করে রাখা বড় বড় শপিংমল বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকের মাধ্যমে কার্ড পাঞ্চ করার মেশিন ব্যবহার ও লেনদেন করে ওই চক্রটি হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা।


র‌্যাব জানায়, এ অপকর্মে জড়িত শাহ্ আজিজ সোহেল (৩৬) নামের এক ব্যক্তি। সে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার আফুলশি গ্রামের মৃত শাহ্ আলমের ছেলে। সে দীর্ঘ দিন দুবাই থাকাকালে ইরিন লিমু নামের এক আমেরিকানের কাছ থেকে কার্ড জালিয়াতির দীক্ষা নেয়। দেশে ফিরে সে লিমুর সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং দেশেই এটিএম কার্ড জালিয়াতি করতে থাকে। গত ১০ বছর থেকে সে জালিয়াতি চালিয়ে আসছে।


র‌্যাব আরো জানায়, বাংলাদেশে বিদেশীদের এটিএম (ডেবিট/ক্রেডিট) কার্ড সহজলভ্য হওয়ায় দেশীয় বিভিন্ন পৃষ্ঠপোষকের মাধ্যমে কার্ড জালিয়াতিতে জড়িত হয় সোহেল। এক পর্যায়ে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ফলগাছা গ্রামের বাসিন্দা রানাকে এ অপকর্মের সঙ্গী বানায় সে।


ইতোমধ্যে রাজধানী থেকে সোহেল, রানা, নূরে আলম, পারভেজ, ওয়াহেদ, আবদুল আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন ও কামরুজ্জামান সুমন নামের আট জালিয়াতকে আটক করেছে র‌্যাব। তাদের কাছ থেকে কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও এমএসআরএম মেশিন কার্ড (বিশেষ কায়দায় গোপন নাম্বার প্রবেশ করার যন্ত্র), এটিএম কার্ড তৈরীর কাঁচামাল, বিশেষ ধরণের প্রিন্টার, বিভিন্ন ব্যাংকের ২০০ টি এটিএম (ডেবিট/ক্রেডিট) কার্ড, এক হাজার ব্ল্যাঙ্ক এটিএম কার্ড ও বিভিন্ন ব্যাংকের ৬ টি কার্ড পাঞ্চ করার মেশিন উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া জালিয়াত চক্রের পৃষ্ঠপোষক জালাল হোসেন সুমন, জহিরুল ইসলাম ও লুৎফর রহমান সুজনকে আটক করা হয়েছে।


র‌্যাব জানিয়েছে, ওই চক্রটি প্রায় ৫ বছর ধরে কার্ড জালিয়াতির কাজে লিপ্ত রয়েছে। তারা এ পর্যন্ত ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। প্রতি মাসে তারা এই প্রক্রিয়ায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে থাকে।


এ ব্যাপারে র‌্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংইয়ের সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, এ সকল অপরাধীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।


বিবার্তা/খলিল/মৌসুমী/হুমায়ুন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com