বিশ্বখ্যাত মসলিন কাপড় ছিল বাংলার ঐতিহ্য। অবাক হয়ে বিদেশীরা এ কাপড়ের নাম দিয়েছিল ‘হাওয়াই ইন্দ্রজাল’।৬০ হাত লম্বা একটি মসলিন কাপড় হাতে রাখলে সহজে টের পাওয়া যেত না। ভাবা যায়, ‘মলমল খাস’ নামের মসলিনের সুতো ছিল মাকড়সার সুতোর চেয়েও চিকন! ১৭৫ হাত সুতোর ওজন ছিল মাত্র এক রত্তি। এক পাউন্ড সুতো ছিল লম্বায় আড়াইশো মাইল!
‘আবরোয়া’ মসলিন পানিতে রাখলে তা দেখা যেত না। সোনারগাঁয়ের একশো পঁচাত্তর হাত দীর্ঘ কাপড়ের ওজন ছিল মাত্র চার তোলা! ইরানের রাজদূত মোহাম্মদী বেগ কারুকাজ করা ষাট হাত লম্বা একটি মসলিন কাপড় নারকেলের ছোট্ট খোলে ভরে ইরানের সম্রাটের দরবারে পাঠিয়েছিলেন।
বাংলার নবাব আলীবর্দী খাঁ পরীক্ষা করার জন্য মাঠে ঘাসের উপর একখণ্ড কাপড় শুকাতে দিয়েছিলেন। সেই কাপড় ঘাসের সাথে চলে যায় গরুর পেটে। অথচ মসলিন কাপড় তৈরিতে কোনো জটিল যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হতো না। কয়েক খণ্ড কাঠ ও কয়েকটি দড়ি! ঐতিহাসিক আঁরমে তার বইতে লিখেছেন: ‘এতো সাধারণ যন্ত্রপাতি দিয়ে ইউরোপের তাঁতীরা মসলিন দূরে থাক, চটও তৈরি করতে পারবে না।’
জিয়াউদ্দিন সাইমুমের ব্লগ থেকে
বিবার্তা/জিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]