কলকাতার মৌলানা আজাদ কলেজের (সাবেক ইসলামিয়া কলেজ) বেকার হোস্টেল থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সরানোর দাবি জানিয়েছে ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’ নামে পশ্চিমবঙ্গের একটি ছাত্রসংগঠন। তারা বলছে, ‘ইসলাম ধর্মে মূর্তি বসানো নিষিদ্ধ।’
জানা গেছে, ওই ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। ভারতে দায়িত্বরত বাংলাদেশের একজন কূটনীতিক ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, ‘‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটি বেকার হোস্টেলে আছে সাত বছর ধরে। সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন বা অন্য কেউ কখনও এর বিরোধিতা করল না, তাহলে এখন কেন প্রশ্ন উঠছে?’’
স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও খবরটি শেয়ার করা হয়েছে বহুবার। কেউ কেউ জানিয়েছেন তাঁদের প্রতিক্রিয়াও। সর্দার আমিন নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের বিহারী মুসলিমরা সবাই পাকিস্তানের কট্টর সমর্থক। এরাই বেকার হোস্টেলের সামনে থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সরানোর দাবি জানিয়েছে।’’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘এদের বিরুদ্ধে একটা কঠিন ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।’’
আবুসালাহ সেকান্দার নামে আরেকজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘মূর্তি (মূলত মূর্তিপূজা) ও ভাস্কর্য এক জিনিস নয়। এদের কে বোঝাবে? মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) অথবা ইসলামের অবস্থান কখনও ভাস্কর্য অথবা কোনো শিল্পকর্মের বিরুদ্ধে ছিল না। তিনি মূলত বলেছেন : মূর্তিগুলো প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা নয়। দ্বিতীয়ত, সৃষ্টিকর্তার ইবাদত মূর্তিপূজার মাধ্যমে সম্ভব নয়।''
বিবার্তা/হুমায়ুন/কাফী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]