অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী আইএস-এর আত্মঘাতী জঙ্গি নিয়াজ মোর্শেদ রাজা ২০১৫ সালের মে মাস পর্যন্ত ফেসবুকে সক্রিয় ছিল। তার প্রোফাইলে থাকা ছবিগুলোর অধিকাংশই তার মেয়ের, যার নাম মারিয়াম। মেয়ের নামের সাথে মিলিয়েই বুঝি আইএস তার নাম দিয়েছিল আবু মারিয়াম আল-বাঙালি। এই নামের প্রথমাংশের অর্থ হচ্ছে মারিয়ামের বাবা।
এত আদরের সন্তানকে রেখে কিসের মোহে সমাজে প্রতিষ্ঠিত এই যুবক জঙ্গি হলো, সেটা আমার কাছে এক বিস্ময়।
কেউ কেউ বলবেন, বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই, এরকম ঘটনা অনেক।
সেটাও ঠিক। গত বছর গুলশানে জঙ্গি হামলার পরপরই দেখা গেছে, এতকাল জঙ্গি বলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের দিকে আঙুল তোলা হলেও পরিস্থিতি আসলে অনেক বদলে গেছে। এখন বিত্তবান পরিবারের ছেলেরা, যারা জীবনে অভাব কী জিনিস চোখে দেখেনি, তারাও জঙ্গি হচ্ছে।
আশার কথা হচ্ছে, গুলশান হামলার পর শক্ত হাতেই জঙ্গি দমনে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী, যদিও তাদের কাজের ধরণ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এসব অভিযান যে মানুষের মনে স্বস্তি এনে দিচ্ছে, জঙ্গি তৎপরতায় লাগাম টানতে পারছে, তা পরিষ্কার।
কিন্তু এটাই কি একমাত্র সমাধান?
আমার মনে হয়, ইসলামিক স্টেটের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো যে বিষাক্ত মতাদর্শ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ঢুকিয়ে দিচ্ছে, সেটা দমনের উপায় খুঁজে বের করা জরুরি। বর্তমানে যেভাবে পশ্চিমা বাহিনীর অভিযান চলছে, তাতে অচিরেই শেষ হয়ে যাবে ইরাক ও সিরিয়ার কিছু অংশে থাকা ইসলামিক স্টেটের দখলদারিত্ব। জঙ্গি গোষ্ঠীটির পক্ষে সেভাবে সংগঠিত হওয়া হয়ত অদূর ভবিষ্যতে আর সম্ভব হবে না। কিন্তু থেকে যাবে তাদের ছড়িয়ে দেয়া বিষাক্ত মতাদর্শ। এই মতাদর্শের বিরুদ্ধে লড়াইটা তাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা কি তৈরি?
আরাফাতুল ইসলামের ব্লগ থেকে
বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]