শিরোনাম
অপরাজিতা ড্রিম হাউজ বানাতে চান শারমিন জাহান
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২০, ২১:১১
অপরাজিতা ড্রিম হাউজ বানাতে চান শারমিন জাহান
উজ্জ্বল এ গমেজ
প্রিন্ট অ-অ+

প্রত্যেক মানুষের জীবনে কিছু ইচ্ছে থাকে। সেগুলো কখনো পূরণ হয় আবার কখনো বা অধরাই থেকে যায়। অনেক চেষ্টা করেও সে ইচ্ছাগুলো যখন পূরণ হয় না, তখন সেখান থেকে তার মনের মধ্যে কিছু অভিমান, রাগ, ক্ষোভ তৈরি হয়। এর পরে ওই মানুষটা ভিন্ন পথে চলতে শুরু করে। আর একদিন নিজের প্রচেষ্টায় তৈরি করে স্বতন্ত্র পরিচয়। এমনই একজন অদম্য আত্মপ্রত্যয়ী নারী শারমিন জাহান।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে উদ্যোক্তাশারমিন জাহান


গ্রাম থেকে উঠে আসা এক সহজ-সরল মেয়ে তিনি। নিজের সততা, কঠোর পরিশ্রম এবং বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ বুকে ধারণ করে আজ নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তৈরি করেছেন নিজের স্বতন্ত্র পরিচয়।


আজ বিবার্তার পাঠকদের জন্য তুলে ধরবো শারমিন জাহানের জীবনের এই প্রতিষ্ঠা হওয়ার পেছনের কষ্টের গল্প।


ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণার মাঝামাঝি উপশহর শ্যামগঞ্জে এক সম্রান্ত পরিবারে ১৯৮০ সালের ডিসেম্বরে জন্ম শারমিন জাহানের। তার পারিবারিক নাম জাহানারা। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। সাত বছর বয়সে হারান আব্বাকে। আব্বা শ্যামগঞ্জ এলাকায় বেশ প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ছিলেন। আব্বার অবর্তমানে গৃহিনী আম্মাকেই ধরতে হয় সংসারের হাল। অনেক কষ্ট করে ছেলে-মেয়েদের বড় করেছেন। পরে বড় ভাই ব্যবসার হাল ধরেন। কিন্তু সেই বড় ভাই ও ভাবী চলে যান না ফেরার দেশে। তার বাকি তিন ভাইও পড়াশোনা করে এখন ব্যবসা করছেন। মেজো ভাই ইন্ডিয়ায় পড়াশোনা করেছেন। ভাবীরা সবাই গৃহিনী।


শারমিনের স্কুল ও কলেজ দুটোই শেষ করেন শ্যামগঞ্জে। জালশুকা কুমুদগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় হতে অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেন তিনি। ওই স্কুল থেকে ১৯৯৬ সালে এসএসসি এবং ১৯৯৮ সালে হাফেজ জিয়াউর রহমান মহাবিদ্যালয় হতে এইচএসসি পাস করেন।


নিজের লেখা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা অনুষ্ঠানে শারমিন জাহান


কথায় কথায় জানা গেল শারমিনের ছাত্ররাজনীতিতে জড়ানো পেছনের কথা। ১৯৯৬ সালে হাফেজ জিয়াউর রহমান মহাবিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কলেজ ছাত্র সংসদে ইলেকশন করেন শারমিন। ছাত্রী মিলনায়তন সম্পাদিকা হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। শুরু হয় তার ছাত্ররাজনীতি। ক্যাম্পাসে সব ধরনের কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। এইচএসসি পাস করার পরে ইকোনোমিক্স নিয়ে ভর্তি হন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত ময়মনসিংহ শহরে আনন্দমোহন কলেজে। কিছু দিন পড়ার পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়ে যান। ১৯৯৮-৯৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন ঢাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে। উঠেন বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে। শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয় জীবন।


বাবার মৃত্যুর পরে তাকে ভাইদের সংসারেই বড় হতে হয়। কলেজে ছাত্র রাজনীতি করাতে বাধা না দিলেও ভাইয়েরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি না করে মনযোগ দিয়ে পড়াশোনা করার অনুরোধ করেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা। কথায় আছে না, ‘ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে’। তার অবস্থাও হলো তাই। ২০০০ সালের ২৫ মে প্রথম বর্ষের ছাত্রী অবস্থায়ই তিনি হলের প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর জাতীয় নির্বাচনের পরে ৪ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রথম মার খেয়েছেন শারমিন। কুয়েত মৈত্রী হল ছাত্রদলের মেয়েরা তাকে ধরে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন করেন। ওই কমিটিতে প্রেসিডেন্ট ছিলেন রোজি আপা বর্তমান মহিলা আওয়ামীলীগের দফতর সম্পাদক এবং সেক্রেটারি অপর্ণা পাল। বর্তমানে তিনি কানাডায় বাংলাদেশ অ্যাম্বাসিতে ফাস্ট সেক্রেটারি হিসেবে কর্মরত আছেন। প্রচার সম্পাদকের সব দায়িত্ব সক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করার জন্য ২০০২ সালের একই তারিখে তিনি হলের সভাপতি নির্বাচিত হন। এভাবেই রাজনীতিতে জড়িয়ে যান তিনি।


রাজনীতি থেকে আর বের হতে পারেননি শারমিন। ঢাবি থেকে বের হয়েও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলেন। সর্বশেষ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা ও শিশু-বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটিতে ছিলেন। তার আগের মেয়াদেও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটিতে সহ সম্পাদক পদে ছিলেন।


ঢাবিতে পড়াশোনা চলাকালেই ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে পারিবারিকভাবেই বিয়ে করেন শারমিন। শ্বশুর মরহুম শাহ আলম ভূঁইয়া একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বামী শরীফুল আলম ভুঁইয়া একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ায়। শুরু হয় তার সংসার জীবন। বর্তমানে দুই সন্তানের মা। মেয়ে সাহিব শায়িরাহ আলম অরিন এবং ছেলে মো. শাহেদ আব্দুল্লাহ শাকীক। তারা দুজনই এখন উদয়ন স্কুলে পড়ছে।


দলের অবস্থার কথা বলতে গিয়ে শারমিন জানান, আপনি হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন আওয়ামী লীগ দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষমতায় আছে। আর তৃণমূলে দলের ত্যাগী যারা, সত্যিকারে যারা মনে-প্রাণে দলকে ভালোবাসেন, দুর্দিনে যাদের অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা ছিলো, তাদের অনেকেই এখন ক্ষমতার বাইরে, দল থেকে ছিটকে আছেন। দল তাদের মূল্যায়ন করেনি।


উদ্যোক্তা শারমিন জাহান


রাজনীতির এই অবস্থায় আমার উপলব্ধি হলো, আমাকে যোগ্যতা ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আমি যদি এভাবে বসে থাকি তাহলে দল আমাকে কখনো মূল্যায়ন করবে না। ২০১৫ সালে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেনেজমেন্ট থেকে হিউম্যান রিসোর্স মেনেজমেন্টে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা শেষ করি। এরপরে ২০১৬ সালে চাইনিজ সরকার থেকে স্কলারশিপ পেয়ে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের উপরে পিএইচডি করতে চীনের উহানে যাই। হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট নিয়ে উহান হোয়াজং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এইচইউএসটি) ইতোমধ্যে প্রি ডিফেন্স সম্পন্ন হয়েছে। ফাইনাল ডিফেন্স এখনো বাকি আছে। কোভিড ১৯ শুরু হলে উহান লকডাউন করা হলে জানুয়ারির ২৩ তারিখে দেশে চলে আসি।


তার মতে, বর্তমানে রাজনীতি পয়সাওয়ালাদের খাঁচায় বন্দি হয়ে গেছে। উদাহরণ হিসেবে বলেন, সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী কুয়েতে গৃহকর্মী ছিলেন। কিন্তু টাকার বিনিময়ে তারও জায়গা হয়েছে পার্লামেন্টে।


দলের এমন নাজুক পরিস্থিতির কারণে জনপ্রতিনিধি না হয়েও সাধারণ জনগণ হিসেবে মানুষের কল্যাণে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন শারমিন। কোভিট ১৯ এর মাহামারীর এই দুঃসময়ে জাদুর নগরীর মানুষ যাতে ভেজালমুক্ত ও কেমিকেল মুক্ত নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো খেয়ে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারেন সেজন্য তিনি নিজের সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করেছেন।


ছোটবেলায় শারমিন চাইতেন এমন একটা প্লাটফর্মে কাজ করবেন যেখানে নিজে ভাল থাকবেন এবং অন্য আরো পাঁচজনকেও ভাল রাখতে পারবেন। এই চিন্তা থেকেই উদ্যোক্তা জীবন বেছে নেন তিনি। অন্যদিকে উচ্চশিক্ষার জন্য চীনে যাওয়ার সুবাদে তার বেশ কিছু বিজনেসের সুযোগ তৈরি হয়। সেই সুযোগগুলোকে কাজে লাগিয়ে সময়োপোযোগী আইডিয়া নিয়ে শুরু করেন উদ্যোক্তা জীবনের পথ চলা। গড়ে তুলেন প্রিয় প্রতিষ্ঠান ‘অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল’।


ইকো ফ্রেন্ডলি ন্যাচারাল পণ্যের প্রতি ভীষণ দুর্বলতা রয়েছে শারমিনের। যেমন, হোটেলে বা বাসায় নিত্য ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ওয়ান টাইম প্লেটের বদলে পরিবেশবান্ধব পণ্য সুপারি পাতার ওয়ান টাইম প্লেট বাণিজ্যিকভাবে দেশে বা দেশের বাইরে সরবরাহ করা, এই মধু মাসে সরাসরি বাগান থেকে কেমিকেল মুক্ত রকমারি টাটকা ফল হোম সার্ভিস দেয়া, নিজেদের ব্যবস্থাপনায় অর্গানিক পদ্ধতিতে শাক-সবজি চাষ করে সপ্তাহে দুদিন, শুক্রবার আর মঙ্গলবার সরাসরি বাগান থেকে তুলে গ্রাহককে হোম সার্ভিস দেয়া, সারাদেশের বিভিন্ন জেলার নদী, বিল, হাওর-বাওর, পুকুর ঝিলের ফরমালিনমুক্ত টাটকা ছোট-বড় সবধরনের মাছ কেটে, ধুয়ে প্যাকেট করে হোম ডেলিভারি দেয়া, দেশি মুরগি, রাজ হাঁস, পাতি হাঁস, সুন্দর বনের খাঁটি মধু, ঘি, সরিষার তেল, পোলাওর চাল, বিভিন্ন মসলার গুঁড়া এসব নগরীর ব্যস্ত মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়াই তার উদ্যোগের প্রধান কাজ। আর এ কাজে তাকে সহায়তা করছেন এক দল উদ্যোমী, সক্রিয় ও পরিশ্রমী কর্মী বাহিনী।



আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সাথে উদ্যোক্তা শারমিন জাহান


বৈশ্বিক মহামারির কিছু কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে শারমিন বলেন, কোভিট ১৯ এর শুরু থেকে ঢাকা ডিসি অফিসে আমি স্বাস্থ্য সুরক্ষা পণ্যগুলো দিয়ে আসছি। ডিসি অফিসে একটা বিল আনতে গেলে এনডিসি অরুণ কৃষ্ণ পাল আমাকে বলেন, আপনার সাথে কাজ করে আমরা ভীষণ হ্যাপি। এই প্রথম কোনো সাপ্লাইয়ারের কথা এবং কাজের মিল পেয়েছি। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু মেডিকেলেও এন৯৫ মাস্ক দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আহমেদ আমিনও আমাকে একই কমপ্লিমেন্ট দিয়েছেন। পুলিশ প্রশাসনেও নিয়মিত স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রোডাক্ট দিয়েছি। সবাই আমার কাজ ও কমিটমেন্টের জন্য খুশি।


সব সময়ই ভালোর প্রতি ভীষণ দুর্বলতা কাজ করে এই নারী উদ্যোক্তার। এই ভালোকে এবং বঙ্গবন্ধুর নীতি আর আদর্শকে ধারণ করা তার জীবনের অন্যতম বিশেষ দিক। অতি সাদামাটা জীবনযাপন করতে পছন্দ করেন তিনি। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো, লোভের বাইরে থাকা, লোভটাকে বিসর্জন দিয়ে কীভাবে সাধারণ মানুষের পাশে থাকা যায়, তাদের বিপদে আপদে উপকার করা যায় এই গুণগুলোকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন তিনি।


বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অফিসের প্রশাসন- ১ শাখায় সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


শারমিন একজন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মনা একজন উদ্যোমী নারী। তিনি কলেজ জীবন থেকেই বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যক্রমের সাথে জড়িত ছিলেন এবং এখনও কাজ করছেন। এগুলো হলো- ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা ইউনিভার্সিটি সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, বিআইএম অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, ইসলামিক স্টাডিজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বঙ্গবন্ধু সমাজ কল্যাণ পরিষদ, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল, নেত্রকোনা জেলা সমিতি, বৃহত্তর ময়মনসিং যুব সমিতি, চায়না আওয়ামী লীগসহ বেশি কিছু সংগঠনের সাথে কাজ করছেন।


রাজনীতি, উদ্যোক্তা জীবনের পাশাপাশি লেখালেখিতেও শারমিনের রয়েছে ভীষণ দুর্বলতা। লেখার হাত বেশ চমৎকার। ইতোমধ্যেই তার লেখা ছয়টি বই প্রকাশ হয়েছে। এগুলো হলো- ‘কাঙ্ক্ষিত পুরুষ’ (কবিতা), ‘এক মুঠো ভালোবাসার জন্য’ (কবিতা), ‘বাণিজ্যিক প্রেমের সপ্তডিঙ্গা’ (কবিতা), ‘সপ্তর্ষির কাব্য’ (সম্পাদনা- কবিতা), ‘হিমুর জন্য ভালবাসা’ (ছোটগল্প) এবং ‘এক ফালি সুখের আশায়’ (সম্পাদনা-ছোট গল্প)।


শারমিনের বিভিন্ন ধরনের কাজের স্বীকৃতিও মিলেছে। তিনি বেশ কয়েকটি সম্মাননা ও পুরস্কার পেয়েছেন। এগুলো হলো- পিস ওয়ার্ল্ড কবি নজরুল ইসলাম স্মারক সম্মাননা-২০১৪, পান্ডুলিপি স্বাধীনতা স্মারক সম্মাননা-২০১৪, বৃহত্তর ময়মনসিংহ লেখক-সাংবাদিক ফাউন্ডেশন সম্মাননা-২০১৪, মাসিক ভিন্নমাত্রা লেখক সম্মাননা-২০১৫, প্রাপ্তি সাহিত্য পরিষদ লেখক সম্মাননা-২০১৬ এবং মুক্তিযুদ্ধ উৎসব সম্মাননা-২০১৮।


স্বামী ও সন্তানের সাথে উদ্যোক্তা শারমিন জাহান


জীবনের অর্জন সম্পর্কে শারমিন জানান, আমি একদম অজোপাড়া গাঁয়ের মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা অতি সাধারণ একজন মেয়ে। সেই আমি বঙ্গবন্ধু তনয়া, প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার চুলে বিলি কাটার, উনার বুকে মাথা রাখার সুযোগ পেয়েছি। উনি তখন বিরোধী দলীয় নেত্রী ছিলেন। উনার সাথে এক টেবিলে বসে খাবারের সুযোগ হয়েছে বেশ কয়েকবার। এরপর তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী হন তখন উনার সাথে যে স্মৃতিগুলো আছে সেগুলোই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন।


আমি যখন যেটা করেছি সেটা খুব সিনসিয়ারলি করেছি। আমি যখন স্টুডেন্ট ছিলাম তখন পড়ালেখায় খুব সিরিয়াস ছিলাম। এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে কাজ করছি। আপাত দৃষ্টিতে আমি এখানেও কর্মকর্তা হিসেবেও সফল। সুডেন্ট হিসেবেও সফল। উদ্যোক্তা হিসেবেও সফল। যদিও আমার ব্যবসাটা অল্পদিনের। তবে আমার গুড উইল বা রেপুটেশন, ক্লায়েন্টদের ফিডব্যাক বা রেসপন্স এটা আমার কাছে সন্তোষজনক। আমাকে এখানেই থেমে থাকলে হবে না। আমার গন্তব্য অনেক দূর। সেদিনই সত্যিকার সফল হবো যেদিন অপরাজিতা ড্রিম হাউজ প্রতিষ্ঠা করতে পারবো। যেদিন অপরাজিতা ড্রিম হাউজ থেকে একটি নতুন বিজনেস থিউরি ডেভেলপ করতে পারবো।


বিবার্তা/গমেজ/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com