শিরোনাম
সৃজনশীল ভাবনার প্রতিফলন ঘটিয়ে বহুদূর যেতে চাই
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৪:০০
সৃজনশীল ভাবনার প্রতিফলন ঘটিয়ে বহুদূর যেতে চাই
ব্যাগপ্যাকার্সের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজ আহমেদ বাবু।
উজ্জ্বল এ গমেজ
প্রিন্ট অ-অ+

প্রত্যেকজন সফল মানুষের জীবনে থাকে নানান চড়াই উৎরাই পেরোনোর কথা। সেই যাত্রাটা কীভাবে শুরু হলো সেটা সবাই দেখে না। কিন্তু যখন কেউ সফল হন তখন সেই সফলতাটাই সবার চোখে পড়ে। মাত্র সামান্য বেতনে ফোন-ফ্যাক্সের দোকানে চাকরি দিয়ে শুরু হয়েছিল যার জীবন যুদ্ধ, তিনি এখন মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছেন। একজন সফল উদ্যোক্তা। তিনি আর কেউ নন, ব্যাগপ্যাকার্সের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজ আহমেদ বাবু।


তার বিশ্বাস ছিল কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায়, আন্তরিকতা, সততা ও নির্দিষ্ট লক্ষ্যের প্রতি নিষ্ঠা থাকলে যে কোনো কাজে একদিন সফলতা আসবেই। আজ তিনি সফল হয়েছেন। তবে এই সফলতাটা তার এক দিনে আসেনি। এর পেছনে রয়েছে অনেক কাঠখড় পোড়ানোর গল্প।


১৯৯৬ সালে মাত্র ৫০০ টাকা বেতনে একটা ফোন-ফ্যাক্সের দোকানে চাকরি শুরু করেন বাবু। চাকরির পাশাপাশি ভাবনা ছিল নিজের উদ্যোগে কিছু একটা করার। এমন কিছু করবেন যেখানে নিজে ভাল থাকার পাশাপাশি কয়েকজন মানুষের কর্মসংস্থানও হয়। কিন্তু কী করবেন? মাথায় আসে আইডিয়া। ১৯৯৮ সাল। একটি ভিডিও গেমসের মেশিন নিয়ে শুরু হয় নিজের ব্যবসায়িক জীবন। সেটাতে ভাল কিছু করতে পারেননি। দুই বছর পর শুরু করেন লন্ড্রি ব্যবসা। ২০০১ সালে ব্যবসার পাশাপাশি বেলী গ্রুপের মালিকের ছেলে, তার বন্ধু শামিম কবিরের (বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক) স্টেপ সুজ, গ্রিবন্ড ইন্টারন্যাশনাল উত্তরা শাখায় মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন তিনি।


বন্ধুর উৎসাহেই ২০০৫ সালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জাকির হোসেন রোডে নাজ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি শো-রুম দিয়ে শুরু করেন ব্যাগের ব্যবসা। চাকরির পাশাপাশি চলতে থাকে তার ব্যবসার কার্যক্রম। এরপর ২০০৯ সালে চিন্তা করেন ব্যবসার পরিধি আরো বাড়ানো দরকার। খুব চিন্তাভাবনা করে বন্ধু স্টুডিও এফেক্স প্রতিষ্ঠাতা শহীদ ভাইয়ের দ্বারস্থ হন তিনি। বন্ধুকে মনের কথা খুলে বলেন। জানান যে, ব্যবসা বড় এবং নতুন করে ব্র্যান্ডিং করতে চান। তখন ওই বন্ধুই প্রতিষ্ঠানটির নাম দিলেন ‘ব্যাগপ্যাকার্স’।


হলুদ কালো রঙ নিয়ে ২০১০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালবাসা দিবসে নাজ এন্টারপ্রাইজ বদলে গিয়ে যাত্রা শুরু করে ‘ব্যাগপ্যাকার্স’ হিসেবে। নতুন পরিচয়ে, নতুন উদ্যমে দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলে ব্যাগপ্যাকার্স। তরুণ উদ্যোক্তার দুচোখে ছিল যুদ্ধ জয়ের স্বপ্ন। আর মনে ছিল আত্মবিশ্বাস। নিজের প্রতিষ্ঠানকে যেভাবেই হোক সফল ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতেই হবে। ব্যবসার বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ আর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে পুঁজি করে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে ধীরে ধীরে ব্যাগের ছোট্ট দোকানটিকে সফল ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রয়োগ করেছেন নানান উদ্ভাবনী কৌশল। সাথে ছিলেন যুদ্ধ সারথী হিসেবে কয়েকজন বিশ্বস্ত সহকর্মী। সৃজনশীল ভাবনা আর অদম্য কৌশলকে সঙ্গী করে প্রকৃতি পাঠকেই গুরুত্ব দিয়ে এগিয়েছেন। একটি দোকান থেকে বেড়ে হয় তিনটি। সাথে ছিলো হলুদ রঙে কালোর মিশ্রণে অনলাইন ও অফলাইন ব্র্যান্ডিং।


নিজের অফিসে রিয়াজ আহমেদ বাবু।


নিজের অফিসে রিয়াজ আহমেদ বাবু।


২০১৪ সালে চায়নাসহ বিভিন্ন দেশে ব্যবসায়িক কাজে যাতায়াত করতে গিয়ে দেখেন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে মানুষ তার ব্যবসার পরিধিকে ব্যাপক হারে বাড়াচ্ছে। বিষয়টা তাকে ভাবিয়ে তুলে। দেশে ফিরেই শুরু হয় ‘ব্যাগপ্যাকার্স’ এর ডিজিটাল মার্কেটিং। একই সাথে ই-কমার্স সাইটের কাজ। বাসায় বসেই ব্যাগপ্যাকার্সের সব ব্যাগ গ্রাহকের চোখের সামনে তুলে ধরতে ২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে যাত্রা শুরু করে ই-কমার্স সাইট। এরপর খুচরা গ্রাহকের সাথে সাথে চাহিদা বাড়ে বিক্রেতাদের। ২০১৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় পরিবেশক বা ডিলারদের সাথে ব্যবসা।


শূন্য থেকে যে কোনো উদ্যোগকে একটা প্লাটফর্মে দাঁড় করাতে এবং একটা কর্পোরেট লেভেলে নিয়ে যেতে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। তরুণ এ উদ্যোক্তার বেলায়ও তাই হয়েছে। পথে যেতে যেতে নানান ধরনের বাধার মুখোমুখি হয়েছেন। কখনোবা কঠিন আঘাতে ছিটকে পড়েছেন, আবার উঠে দাঁড়িয়েছেন। শিখছেন প্রতি পদে পদে। সমাজে প্রচলিত ‘ডিগ্রিধারী শিক্ষিতরাই সফল হয়’ ধারণাকে এভাবেই ভেঙ্গে চুরমার করে দৃষ্টান্ত হয়েছেন আরো দশজনের।


এ বিষয়ে বাবুর ভাষ্য, প্রতিভাবান হতে চাইনি, জাদুকর হতে চেয়েছি। প্রতিভাবানেরা তো কঠোর শ্রম দিয়ে নিজের পথের অবস্থান জানিয়ে দেন। সেই পথে চাইলে কঠোর শ্রম দিয়ে পৌঁছানোও সম্ভব। কিন্তু জাদুকরদের ভাবনা শুধু ভাবিয়েই তুলে। বোঝার উপায় নেই বিন্দুমাত্র। এমন জাদুকরেরা রয়েছেন আমার অনুপ্রেরণায়। তাই আমার ব্যবসায়িক গুরু স্টিভ জবস।


বাবু বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ছকবাঁধা কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য না থাকায় আমি ছিলাম উন্মুক্ত। আর আমার উন্মুক্ত ভাবনার বহিঃপ্রকাশই ‘ব্যাগপ্যাকার্স’।


শুধু শৈল্পিক ভাবনার প্রতিফলন ঘটিয়ে উদ্যোগটি এখন জায়গা করে নিয়েছে দেশের লাখো ব্যাগপ্রেমীদের হৃদয়ে। তাই জীবন যাপনের প্রয়োজনীয় এই অনুষঙ্গের জন্য এখন এক আকর্ষণের নাম ‘ব্যাগপ্যাকার্স’।


সহকর্মীদের সাথে রিয়াজ আহমেদ বাবু।


সহকর্মীদের সাথে রিয়াজ আহমেদ বাবু।


প্রথমে ঢাকার বিভিন্ন এলাকার দোকানগুলো থেকে সব ধরনের ব্যাগই কিনে এনে বিক্রি করা শুরু করেন বাবু। পরে চিন্তা করেন নিজেই প্রোডাকশনে যাওয়ার। এরপর ব্যাকপ্যাক ও ট্রলি দিয়ে ছোট পরিসরে যাত্রা শুরু করেন। নিজের ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টে চায়না থেকে প্রোডাকশন করিয়ে নিয়ে আসেন। এভাবেই ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। মাত্র পাঁচ লাখ টাকার পুঁজি নিয়ে শুরু হওয়া সেই স্বাপ্নিক যাত্রায় আজ যোগ হয়েছে অর্ধশতাধিক পরিবেশক প্রতিষ্ঠান। প্রায় এক যুগ হতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির বয়স।


কৌশলগত পরিকল্পনা আর কঠোর পরিশ্রমের ফলে অল্পসময়ে বেশ ভাল পরিচিতি পেয়েছে উদ্যোগটি। বাবুর ভাষ্য, আমরা প্রথম ব্যানার ব্র্যান্ডিং দিয়ে শুরু করি। আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন টিজার ব্যানার দিয়ে মানুষের কৌতূহল তৈরি করি। এরপর আবার ব্যানার দিয়ে আমাদের বিজ্ঞাপন প্রচার করি। এরকম একভাবে মানুষের আস্থা তৈরি করি। তবে প্রোডাক্টের ভালো মানই আমাদের এতদূর আসতে সাহায্য করেছে। এরপর আমরা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে নামি। ডিজিটাল মার্কেটিংও আমাদের প্রচারের আলোয় এনে দেয়। বিভিন্ন টিভিতে ব্যাগপ্যাকার্সের টিভিসিও আমাদের জনপ্রিয়তা তৈরিতে সাহায্য করেছে।


উদ্যোগটি অফলাইন ও অনলাইন দুটোতেই রয়েছে। তবে শুরুর সময়কার সেই অফলাইনের ব্যাগপ্যাকার্সের ব্র্যান্ডিং কৌশলকেই প্রতিষ্ঠানটির সফলতার মূল ভিত্তি বলে মনে করেন বাবু। তিনি বলেন, সেই সময়টায় নানা ধরনের নিরীক্ষা করেছি। অফলাইনে থাকতে হলে প্রথমেই প্রডাক্ট ভালো হতে হবে। আমরা প্রডাক্টের মান ও দামের প্রতি নজর রেখেছি। যা কিছুই ক্রেতাকে দিতে চেষ্টা করেছি সবসময় সেটি স্মার্টলি প্রেজেন্ট করেছি। তখন খুব কম প্রতিষ্ঠানই প্রডাক্ট উপস্থাপনায় গুরুত্ব দিত। প্রযুক্তিকে তখন থেকেই নানা মাধ্যমে উপস্থাপন করতে থাকি মার্কেটিংয়ের কাজে।


ক্রিয়েটিভ ব্র্যান্ডিংয়ের পাশাপাশি অনলাইনে ক্রেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখাটাও অনেক জরুরি মনে করেন কৌশলী এ উদ্যোক্তা। এরজন্য ফেসবুককে অনেক শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন। দেশেই অনলাইন ব্যবসার অনেক বড় ক্ষেত্র রয়েছে। এক্ষেত্রে বিদেশি যে বিপণন ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন আমাজন, ইবে, ফ্লিপকারট থেকেও দেশের বিপণন কোম্পানিগুলো ভালো সেবা দিতে পারে।


অনেকেই গুলশান-বনানীতে চেষ্টা করেও একটি ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারেন না। কিন্তু ছোট্ট কোনো পাড়া বা মহল্লা থেকে একটি ব্র্যান্ড সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে পারাকে নিজের সবচেয়ে বড় অর্জন বলে মনে করেন বাবু।


ব্যাগপ্যাকার্সের শো-রুমে রিয়াজ আহমেদ বাবু।


ব্যাগপ্যাকার্সের শো-রুমে রিয়াজ আহমেদ বাবু।


২০১৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ডিলারদের সাথে ব্যবসা। এখন দেশজুড়ে ডিলার পয়েন্ট আছে। সময়োপযোগী ভাবনাকেই সাফল্যের সূত্র মনে করেন এই তরুণ কারিগর। ক্রিয়েটিভ ভাবনায় ব্যাগপ্যাকার্সের পাশে পেয়েছেন ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর মনাজ হককে। যার দক্ষ নেতৃত্বে এগিয়ে গিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এখনো যার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে যাচ্ছে তিনি হলেন ফোকাস মিডিয়ার শফিকুল ইসলাম শফিক ভাই। প্রতিনিয়ত ব্যবসায় যোগ হচ্ছে নতুন পালক।


একজন মানুষের লাইফস্টাইলের সঙ্গে যায় এমন সব ধরনের ব্যাগ যেমন লেডিসব্যাগ, হ্যান্ডপার্স, অফিসব্যাগ, ল্যাপটপ-ব্যাগ, লাগেজ, কাঁধের ব্যাগ, ট্রাভেলব্যাগ এবং পার্টিব্যাগ, হ্যান্ডব্যাগ ব্যাগপ্যাকার্সে বিক্রি করা হয়। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সলিমুল্লাহ ও জাকির হোসেন রোডের ৪টি শাখা থেকে ক্রেতারা অনলাইন ও অফলাইনে কিনতে পারবেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির চারটি শাখায় কাজ করছেন ২৬ জন কর্মী।


বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই ব্যবসার অনেক সম্ভাবনা দেখছেন উদ্যোমী এই উদ্যোক্তা। তার ভাষ্য, আমরা দেশের সব ব্যাগ ব্যবসায়ী মিলে এর ৬০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করতে পেরেছি। এখনো অনেক জায়গা ফাঁকা আছে। চাইলে যে কেউ এই ব্যবসায় আসতে পারেন।


তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রতি তার পরামর্শ হলো- যারা উদ্যোক্তা হতে চান তাদেরকে স্বাগতম। নিত্যপ্রয়োজনীয় যে কোনো সেগমেন্ট নিয়ে কাজ করা যেতে পারে। তবে যে যে বিষয়ে নিয়ে কাজ করতে চান সে বিষয়ে পুরো মনোযোগী ও আন্তরিক হতে হবে। কাজকে ভালোবাসতে হবে। আপনার ধ্যান-জ্ঞান ওই উদ্যোগকে ঘিরে হতে হবে। ব্যবসার হটসিটে একবার বসে গেলে বাকি কিছু নিয়ে চিন্তা করা যাবে না। আর যে সেগমেন্ট নিয়ে কাজ করবেন সে প্রোডাক্টের মান ভালো হতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ওপর জোর দিতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায়, আন্তরিকতা, সততা ও নির্দিষ্ট লক্ষ্যের প্রতি নিষ্ঠা থাকলে সে স্বপ্নও একদিন পূরণ হবেই।


আগামীকাল শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারি ১১ বছরে পা দিচ্ছে ব্যাগপ্যাকার্স। শুরু থেকেই মানসম্মত পণ্য ও সর্বোচ্চমানের সেবা দেয়ার অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। ক্রেতাদের সন্তুষ্টি অর্জনই প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য। সংগ্রামী জীবনপথে প্রতিনিয়তই সৃজনশীল ভাবনার প্রতিফলন ঘটিয়ে আরো বহুদূর পাড়ি দিতে চান এই উদ্যোমী উদ্যোক্তা রিয়াজ আহমেদ বাবু।


বিবার্তা/উজ্জ্বল/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com