শিরোনাম
২০ লাখ গৃহকর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করতে চান লিখন ও স্মরণ
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:১৯
২০ লাখ গৃহকর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করতে চান লিখন ও স্মরণ
স্বপ্নবাজ দুই ভাই মাহমুদুল হাসান লিখন ও মেহেদী স্মরণ
উজ্জ্বল এ গমেজ
প্রিন্ট অ-অ+

দুই ভাই। মাহমুদুল হাসান লিখন ও মেহেদী স্মরণ। থাকেন রাজধনী ঢাকায়। লিখনের থেকে স্মরণ ৬ বছরের ছোট। তাদের চোখে ছিল বড় হওয়ার স্বপ্ন। দু’জনের স্বপ্নটা ছিল ভিন্ন ধরনের। কিন্তু সময়ের আবর্তনে বদলে গেল তাদের স্বপ্নের প্রেক্ষাপট। দু’জনের ভাবনা হয়ে গেল এক। স্বপ্ন বাস্তবায়নের যুদ্ধটাও করেছেন দু’জনে।


ছোটাবেলা থেকেই পড়াশোনার দিকে তেমন একটা জোক ছিল না স্মরণের। গতানুগতিক পড়াশোনার বাইরে গিয়ে ভিন্ন ধরনের কিছু একটা করার স্বপ্ন ছিল তার মনে। ক্লাস নাইনে পড়ার সময় থেকেই ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে কাজ করে টাকা আয় করা শুরু করেন স্মরণ।


অন্যদিকে লিখন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশান শেষ করে মাস্টার্স করার পাশাপাশি দেশের বাইরে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ব্যবসা করার কোনো স্বপ্নই ছিল না তার।


তখন দুই ভাই থাকতেন সাত তলার চিলে কোঠায়। একটা কয়েল কিনতেও সাততলা থেকে নিচে যাওয়া চাট্টিখানি কথা না। এই সমস্যা যেহেতু সবার, বিশেষ করে বাড়ির ছোটছেলের দায়িত্ব। মা সারাদিন অর্ডার করতেই থাকেন, এটা নিয়ে আয়, ওটা নিয়ে আয়, তাই এই সমস্যার সমাধান করতে নতুন আইডিয়া মাথায় এলো স্মরণের।



হ্যালোটাস্কের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মেহেদী স্মরণ


অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ করায় নিজের উপরে আত্মবিশ্বাস ছিল তার। এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা যেদিন শেষ হলো সেদিনই বড় ভাই লিখনকে বললেন, আর পড়াশোনা করতে ভাল লাগে না। ভাবছি ব্যবসা করবো। আব্বুর কাছে থেকে দুই লাখ টাকা নিয়ে দাও। জবাবে লিখন বললেন, কী করবি? তখন স্মরণ বললেন, অন ডিমান্ড ডেলিভারি দেবো, মানুষ যা যা কিনতে বাসা থেকে নেমে পাড়ার দোকানে যায়, সব কল দিলেই আমরা পৌঁছে দেবো।


স্মরণের আইডিয়া পছন্দ হলো লিখনের। দু’ভাই শুরু করলেন আইডিয়ার বাস্তবয়ন। কিন্তু ডিজিটাল যুগে ফোন কলে সার্ভিস পছন্দ হলো না লিখনের। উবার, পাঠাও সার্ভিস ততদিনে এসে গেছে রাজধানীতে। উবার সেবার আইডিয়ার মডেলে একটা অ্যাপ ডিজাইন করেন লিখন। গ্রাহকরা মোবাইল অ্যাপে ক্লিক করে পছন্দ মতো (পাঠাও ফুড ডেলিভারির সিস্টেমে) যা কিছু অর্ডার দেবেন, আশপাশের ডেলিভারিম্যান সেটা কিনে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসবেন। আইডিয়া ডিজাইন করে আব্বুকে বিষয়টা বোঝাতে সক্ষম হন তারা। দুই লাখ টাকাও পান। সে টাকা দিয়ে অ্যাপ বানানো, অফিস নেয়া, গ্রাম থেকে ১২ জন ডেলিভারিম্যান আনা সব কাজ করা হলো। আইডিয়ার নাম দেন ‘রোবট ডাকো’।


সব আয়োজন সম্পন্ন। ‘গ্রাহক অর্ডার করা মাত্র ত্রিশ মিনিটে সবকিছু পৌঁছে যাবে বাসায়’। এই প্রতিপ্রাদ্য নিয়ে যেদিন আনুষ্ঠানিক সার্ভিস উদ্বোধন করা হবে, সেদিন অ্যাপ ডেভলপার উধাও। ম্যাসেজ দিলেন, কোডিংয়ে ঝামেলা হওয়ায় তিনি কোনোকিছু মেলাতে পারছে না। তাই আর কাজ করবেন না। ৪০ হাজার টাকা নিয়ে হাওয়া হয়ে গেলেন। ব্যবসায় লাখটাকা প্রফিটের চিন্তা নিমিষেই গায়েব হয়ে গেলো তাদের।


এদিকে মার্কেন্টাইল ব্যাংক ইনোভেটিভ আইডিয়াগুলোতে কমসুদে লোন দেয়ার জন্য তাদের খুঁজে বের করলো। তবে লোন নেয়ার জন্য তাদের প্রজেকশান করে দেখাতে হবে। প্রতিদিনে কত সেল হবে, কত লাভ হবে, কতদিনে আসল উঠে আসবে সব বিষয়। এক উদ্যোক্তা বড় ভাই প্রজেকশন তৈরি করে দিলে তারা দেখলেন মাত্র চার মাসের মাথায় লাভ তুলে একাকার। সেটা ব্যাংকে দেখালে লোন পেয়ে যান। পুরো উদ্যোমে ফেসবুক মার্কেটিং করাসহ হাজারো মানুষকে লিফলেট দেয়া হলো। ২০১৭ সালে নভেম্বর সার্ভিসটি আনুষ্ঠানিক শুরু করা হয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেশ কিছুসংখ্যক মানুষ এই সার্ভিস নেন। পরে মার্চে কমতে থাকে। শেষে আর কাউকে বুঝাতেই পারলেন না যে তারা কী সার্ভিস দিচ্ছেন।



হ্যালোটাস্কের ব্র্যান্ডিং করছেন লিখন ও স্মরণ। ছবি : ফেসবুক থেকে


স্বপ্নের উদ্যোগ শুরু করে কয়েক মাস চালালেও সফলতার মুখ দেখেনি। এখন কি করা যায়? ভাবতে থাকেন দু’ভাই। হতাশ হলেও হাল ছাড়েননি উদ্যোমী ও আত্মপ্রত্যয়ী এই দুই উদ্যোক্তা।


দু’ভাই ঢাকায় যে বাসায় থাকতেন, সেখানে তাদের সাথে মা-বউ কেউ থাকতেন না। ভরসার জায়গা ছিল একমাত্র রহিমা খালা। দুইবেলা রান্না করে ঘরবাড়ি একটু গোছগাছ করে দিয়ে যেতেন। এই ভদ্রমহিলাও আবার একদিন আসতেন তো তিনদিন তার কোনো খবরই থাকতো না। একে তো ব্যবসার অবস্থা ভাল যাচ্ছিল না, তার উপর বুয়া (গৃহকর্মী) আসতেন না ঠিকমত। রুটিকলা খেয়ে চলতে চলতে এক রাতে তারা মিটিং করছিলেন। তখন নানান বিষয় নিয়ে সার্ভে করে দেখলেন ঢাকা শহরের জাতীয় সমস্যা হলো বুয়া ঠিকমতো না আসা বা না পাওয়া। তাহলে এ সমস্যার সমাধান নিয়ে কাজ করা যায়। যেই ভাবা সেই শুরু কাজের।


‘বুয়া একদিন আসেন তো তিনদিন আসেন না, অন ডিমান্ড মেইড সার্ভিস আসছে’ এই স্লোগান দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে দিয়ে একটা কন্টেন্ট তৈরি করে রাতেই তারা ফেসবুকে পোস্ট করেন। বুস্ট করেননি। পোস্ট ভাইরাল হয়ে গেলো। সকাল উঠে দেখেন হাজার হাজার শেয়ার। কিন্তু তারা জানতেন না কোথা থেকে কিভাবে মেইড খুঁজে আনবেন। শুরুতে দু’ভাই বিভিন্ন গার্মেন্টসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতেন। গার্মেন্ট শ্রমিকদের বোঝাতেন ওই কাজ বাদ দিয়ে বাসায় বুয়ার কাজ করলে কী লাভ, কী কী সুবিধা, মাসে কত বড় অংকের টাকার আয় করা সম্ভব এসব। কেউ বিষয়টা পাত্তা দিতেন, আবার কেউ দিতেন না। সবশেষে দুইজন মেইড নিয়েই ২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হলো তাদের অন ডিমান্ড মেইড সার্ভিস। সেই থেকে আর পিছনে তাকাতে হয়নি তাদের।


যে লিখন মাস্টার্স পাস করে দেশের বাইরে যাবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, সে ছোট ভাইয়ের সাথে কাজ করতে করতে কখন যে বিজনেসের ভেতরে ঢুকে গেলেন টেরই পেলেন না। দু’ভাই মিলে পরিকল্পিতভাবে দিন-রাত কাজ করে যেতে লাগলেন।



‘চাকরি খুঁজবো না, চাকরি দেবো’ গ্রুপের পক্ষ থেকে ‘নবীন উদ্যক্তা স্মারক ২০১৮’নিচ্ছেন স্মরণ। ছবি : ফেসবুক থেকে


ডেলিভারি সার্ভিসের কারণে তারা নাম দিলেন ‘রোবট ডাকো’। কিন্তু মেইড সার্ভিস লঞ্চ করার পর থেকে সমালচনা শুরু হয় যে মেইডদের রোবট বলে তাদের অপমান করা হচ্ছে। তাই সবার মতামতকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তারা ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে সার্ভিসটির নাম দেন ‘হ্যালোটাস্ক’।


উবার/পাঠাওয়ে বাইক রিকোয়েস্ট করলে যেমন আশপাশের বাইকারের সাথে কানেক্ট হয়ে সাথে সাথে গ্রাহকের লোকেশনে পিক করতে চলে আসেন, হ্যালোটাস্ক সার্ভিস থেকে মেইড রিকোয়েস্ট করলেও তাই হয়। সেক্ষেত্রে একজন গৃহকর্মীর গ্রাহকের বাসায় যেতে ত্রিশ মিনিট থেকে এক ঘন্টার মতো সময় লাগে।


কারো বাসায় আজকে মেইড না আসলে, অথবা কাজ জমে থাকলে, ঘন্টা বেসিসে ইন্সট্যান্টলি গৃহকর্মী ডেকে নেয়া যাবে হ্যালোটাস্ক সার্ভিস থেকে। কারো বাসার গৃহকর্মী ১০ দিন অসুস্থ/ছুটিতে থাকলেও ওই কয়দিনের জন্যও অ্যাপ থেকে গৃহকর্মী বুক করা যাবে। চাইলে পুরো মাসের জন্যই গৃহকর্মী হায়ার করতে করা সম্ভব। তবে হ্যালোটাস্ক সার্ভিস থেকে লিভ ইন/পার্মানেন্ট/বান্ধা গৃহকর্মী সেবা দেয়া হয় না।


হ্যালোটাস্ক সার্ভিস প্ল্যাটফর্মের সকল গৃহকর্মীর ন্যাশনাল আইডি কার্ড ভেরিফাইড। মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস নগদ এ ব্যাপারে হেল্প করে থাকে। এখানে জয়েন করতে চাইলে গৃহকর্মীকে নগদ একাউন্ট খুলতে হয়, তাতে করে তার জাতীয় পরিচয়পত্র ভেরিফাইড হয়ে যায়। পাশাপাশি, তার একজন লোকাল গার্ডিয়ানেরও জাতীয় পরিচয়পত্র হ্যালোটাস্ক সিস্টেমে রেখে দেয়া হয়। তাই কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা হলে, হ্যালোটাস্ক এই তথ্য গ্রাহক কিংবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে দিতে পারেন। এর বাইরেও প্রতিষ্ঠানটির কিছু সিকিউরিটির বিষয় রয়েছে। গৃহকর্মী বাসায় থাকাকালীন চুরি, কোনো কিছু ভেঙে যাওয়া বা অন্য কোনো অপরাধ সংক্রান্ত সমস্যা অফিসে জানাতে হবে। বাসা থেকে বের হওয়ার আগে বা পরে এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ গ্রহণ করা হয় না। তবে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কোন কিছু ভেঙ্গে গেলে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত পণ্যের দামের ৫০% ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। কাজ পছন্দ না হলে রেটিং রিভিউ দেয়ার সুযোগ থাকে। রিফান্ডও পাওয়া যায় অভিযোগ করলেই। প্রত্যেক গৃহকর্মী সফট স্কিল প্রশিক্ষণে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় তার করণীয় কী সে সম্পর্কে জানানো হয়। তাই গৃহকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার চেষ্টাও করে হ্যালোটাস্ক।


রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, বসুন্ধরা বারিধারা, উত্তরা, গুলশান, বনানী, মহাখালী থেকে বাড্ডা পর্যন্ত চলছে হ্যালোটাস্কের সার্ভিস এরিয়া। কিন্তু এদিকে ফার্মগেটের পর থেকে মতিঝিল এবং ওদিকে রামপুরা, বনশ্রী থেকে মালিবাগ, খিলগাঁও, বাসাবো এখনো সার্ভিস শুরু হয়নি। আশা করা হচ্ছে সেটা ২-১ মাসের মধ্যে হয়ে যাবে।


গত দেড় বছরে হ্যালোটাস্কের ইউনিক অ্যাপ ডাউনলোড করা হয়েছে ৫০ হাজারের মতো। ৩২ হাজার নিবন্ধিত কাস্টোমার আছেন যাদের মধ্যে ১২ হাজার কাস্টোমার সার্ভিস নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজারের মতো সার্ভিস দেয়া হয়েছে যেখান থেকে চুরির মতো ঘটনার অভিযোগ এসে দু’একটি। যার একটিতে গৃহকর্মীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এর পর থেকেই হ্যালোটাস্কের সিকিউরিটি প্রসেসে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে।



অন ডিমান্ড মেইড সার্ভিস লগো। ছবি : ফেসবুক থেকে


যে কোনো উদ্যোগ বাস্তবায়নের শুরুতে থাকে নানান ধরনের চ্যালেঞ্জ। লিখন ও স্মরণের বেলায়ও তাই ছিল। চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে লিখনের ভাষ্য, উদ্যোক্তা হিসেবে প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল স্টার্টআপ কী জিনিস এটা বোঝা। আমরা যখন শুরু করি, তখন আমাদের রোল মডেল বলতে ছিল শুধুই দেশীয় উদ্যোগ পাঠাও, সেবা, হ্যান্ডিমামা, চালডাল। এরপরেই মূলত স্টার্টাপ ইকোসিস্টেম গড়ে ওঠে। ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করি। না বুঝে স্টার্টাপ শুরু করায় অনেক বেশি সমস্যা হয়। টাকা-পয়সার ক্ষতির পাশাপাশি কিছু অপূরণীয় ক্ষতি হয়। এখন সব টেলকো স্টার্টআপদের নিয়ে কাজ করছে, প্রচুর কম্পিটিশান হচ্ছে, সরকার এগিয়ে এসেছে, এঞ্জেল ইনভেস্টর বা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও এগিয়ে আসছে। কিন্তু আমাদের শুরুর চ্যালেঞ্জটা ছিল ফান্ডিং আর একজন ভাল মেন্টরের। সেটা ছিল না। একটা ভাল টিম তৈরি করা, আইডিয়া এক্সিকিউশান প্ল্যান ঠিকঠাক করে এটাকে বাস্তবায়ন করাও বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।


তাদের এই উদ্যম ও উদ্যোগের জন্য ‘চাকরি খুঁজবো না, চাকরি দেবো’ গ্রুপের পক্ষ থেকে গত জুন মাসে দেয়া হয় ‘নবীন উদ্যক্তা স্মারক ২০১৮’।


হ্যালোটাস্কের পরিকল্পনা নিয়ে স্মরণের ভাষ্য, বাংলাদেশে ২০ লাখ গৃহকর্মী রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য এই কম আয়ের শ্রমজীবী মানুষদের প্রযুক্তির ছায়ায় এনে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা। ইতিমধ্যে আমরা অক্সফাম বাংলাদেশের সাথে কাজ করছি। আগামীতে আরো এনজিও এবং সরকার গৃহকর্মীদের নিয়ে প্রাইভেট সেক্টরের সাথে কাজ করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। ৫ বছর পরে আর গৃহকর্মী পেতে দারোয়ান কিংবা পাশের বাসার ভাবীকে বলতে হবে না। কাস্টোমার নিজেই নিজের মোবাইলে অ্যাপে মাধ্যমে গৃহকর্মী হায়ার করতে পারবেন, গৃহকর্মীও অ্যাপ ব্যবহার করে কাস্টোমারের বাসা খুঁজে নিজেই চলে আসবেন। চুরি করে উধাও হয়ে যেতে পারবে না, কাস্টোমারও নির্যাতন করে পার পাবেন না। এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই আমরা।


বিবার্তা/উজ্জ্বল/জাই











সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com